প্রতীকী ছবি।
পরকিয়ায় বাদ সেধেছিল প্রেমিকার চার বছরের একমাত্র ছেলে। তাই, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে খুন করে প্রেমিক। প্রেমিকের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়েই গুরুতর জখম হন মা। গত ২২ অগস্ট কাঁথি-১ ব্লকের শৌলায় রক্তাক্ত শিশুর মৃতদেহ ও জখম অবস্থায় এক মহিলার উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। ঘটনার তিনদিনের মাথায় শনিপার রাতে অভিযুক্ত অনুপ বরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাকে কাঁথি মহকুমা বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ধৃতের শনাক্তকরণে টি আই প্যারেডের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অনুপের বাড়ি জুনপুটের অদূরে শ্যামরাইবাড় জলপাই গ্রামে। শনিবার রাতে পাশের গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জেরায় ধৃত অনুপ শিবানি মাইতি নামে ওই মহিলার চার বছরের ছেলে সৌম্যকে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। শিবানির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের কথাও সে স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবানির স্বামী চন্দন মাইতি রং-মিস্ত্রির কাজ করেন। কর্মসূত্রে তিনি ওড়িশায় থাকেন। অনুপ পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। শিবানির শ্বশুরবাড়ি কাঁথি-৩ ব্লকের ওলমায়। সেখানে কাজ করতে গিয়ে শিবানির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর পর শিবানীর স্বামীর বাড়িতে না থাকার সুবাদে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রবিবার অনুপকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে খুনের কারণ খুঁজতে তাকে জেরা করে পুলিশ। তাতে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন শিবানি ছেলেকে নিয়ে অনুপের সঙ্গে বাইকে চেপে শৌলায় গিয়েছিল। সেখানে অনেকক্ষণ সময় কাটায় তারা। কিন্তু সৌম্য বার বার বাড়ি ফেরার জন্য বায়না করছিল। তাতেই এক সময় ক্ষিপ্ত হয়ে অনুপ বাইকের ডিকি থেকে ধারাল ছুরি বের করে সৌম্যকে কোপায়। ছেলেকে মারতে দেখে বাধা দিতে গেলে শিবানিকেও ছুরি দিয়ে অনুপ আঘাত করে। এরপরই সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার বাইকটি অনুপের নয়। সেটি কার তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
কাঁথির এসডিপিও অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অনুপকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। ওই মহিলা এবং অভিযুক্তকে পৃথকভাবে জেরা করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’’