শনিবার নিজের গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠ খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় কাশীনাথ দোলুইয়ের দেহ। —নিজস্ব চিত্র।
নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার নিজের গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠ খুঁড়ে উদ্ধার হল এক কিশোরের দেহ। খড়্গপুর গ্রামীণ থানার কাটাপাল গ্রামের ওই কিশোরকে চোর সন্দেহে গুলি করে ওই মাঠে পুঁতে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবার-সহ স্থানীয়দের। ওই কিশোরের দেহে গুলি লাগার ক্ষত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে কাশীনাথ দোলুই (১৬) নামে ওই কিশোরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে দাবি পরিবারের। যদিও এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়নি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে কাটাপাল গ্রামের একটি মাঠের মাটি খুঁড়ে কাশীনাথের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সেটি ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ।
ঠিক কী কারণে কাশীনাথের মৃত্যু হয়েছে বা তার গুলি লেগেছিল কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের পরেই তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়্গপুর) রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাটি খুঁড়ে এক কিশোরের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বিষয়টি প্রথমেই পুলিশকে জানানো হল না কেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে দু’টি পৃথক মামলা রুজু করা হবে।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নিমপুরা এলাকায় স্থানীয় একটি বন্ধ কারখানার ভাঙা দেওয়াল পেরিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েছিল কাশীনাথের গরু। অভিযোগ, শুক্রবার সেই গরুটিকে ফিরিয়ে আনতে গিয়েই চোর সন্দেহে কাশীনাথকে গুলি করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, কারখানার নিরাপত্তারক্ষীরাই কাশীনাথকে গুলি করেছেন।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, কাশীনাথ-সহ এলাকার চার-পাঁচ জন ওই বন্ধ কারখানায় চুরি করতে গিয়েছিল। সেই সময় সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক থেকে তাদের দিকে গুলি ছোড়েন। কাশীনাথের গায়ে সে গুলি লাগতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। ওই নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।