ভোটে জেতার পর বিধায়কের দেখা মিলছে না। ‘নিরুদ্দেশ’ খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়। পর্দার হিরণ। ওই শহরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তালবাগিচা এলাকায় অভিনেতার ছবি এঁকে এই মর্মেই পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। এই নিয়ে তৃণমূল আর বিজেপি-র মধ্যে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
নিরুদ্দেশ পোস্টারে লেখা হয়েছে, বিধায়ককে খুঁজে দিতে পারলেই পুরস্কার হিসেবে মিলবে সেলফি তোলার সুযোগ। বিষয়টি হিরণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিরুদ্দেশ কোথায়? আমি তো বিধানসভায় বসে আছি। নিরুদ্দেশ হলে তো ফোনে পাওয়া যেত না। প্রতিদিনই খড়গপুরের মানুষ ফোন করেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।’’
উল্টে যাঁরা পোস্টার দিয়েছেন, তাঁদেরই বিঁধেছেন হিরণ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কারা নাম লেখেন না, যাঁদের সাহস নেই, তাঁরাই নাম লেখেন না। সত্য বলার ক্ষমতা থাকলে পোষ্টারের নীচে নাম লিখতেন তাঁরা। পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করছি, তারা যেন বিষয়টি দেখেন। বিধায়ক হওয়ার আগে থেকেই খড়গপুর শহরে রয়েছি। খড়গপুর পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রেম বাজার এলাকা গত ১২ মার্চ থেকে আমার ঠিকানা।’’
সরাসরি তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, খড়গপুরে পরাজিত হওয়ার পর যন্ত্রণায় ছটফট করছে শাসক দল। সেই প্রসঙ্গেই খড়গপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা খড়্গপুর পুরসভার প্রশাসক প্রদীপ সরকার বলেন, ‘‘শুনেছি বিধায়ক নিরুদ্দেশ বলে পোস্টার পড়েছে। সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে দিয়ে থাকতে পারেন। তবে জানি না কে বা কারা দিয়েছেন। তা ছাড়া যন্ত্রণা হওয়ার কী আছে?’’