digha

সমুদ্রে উল্টোল নৌকা, উদ্ধার নিখোঁজ মৎস্যজীবী  

শুক্রবার সন্ধ্যায় এমনই একটি নৌকা রামনগর-২ ব্লকের জলধা মৎস্য খটি থেকে জাল ভর্তি করে মন্দারমণির দিকে যাচ্ছিল। সে সময় খালে চড়ায় ধাক্কা লেগে সেটি উল্টে যায়। নিখোঁজ হয়ে যান নৌকায় থাকা ছয় মৎস্যজীবী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২০ ০৩:১৪
Share:

এই নৌকা ডুবে গিয়েছিল—নিজস্ব চিত্র

জেলার বড় ট্রলারগুলি সমুদ্রে যাওয়া শুরু করেনি। তবে ছোট নৌকাগুলি সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে শুরু করেছে।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যায় এমনই একটি নৌকা রামনগর-২ ব্লকের জলধা মৎস্য খটি থেকে জাল ভর্তি করে মন্দারমণির দিকে যাচ্ছিল। সে সময় খালে চড়ায় ধাক্কা লেগে সেটি উল্টে যায়। নিখোঁজ হয়ে যান নৌকায় থাকা ছয় মৎস্যজীবী। খবর পেয়ে মন্দারমণি উপকূল থানার পুলিশ তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চালায়। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে শনিবার সকালে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের স্থানীয় বড়রাঙ্কুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত নৌকোটিকে সৈকতের ধারে নিয়ে এসেছেন মৎস্যজীবীরা।
এ দিকে, আগামী ১ জুলাই পূর্ব ভারতের সর্ব বৃহৎ দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র খুলে যাবে। কিন্তু তার আগে ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির দাম মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে ট্রলার মালিকদের কাছে। চলতি জুনের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ডিজেলের দাম সাড়ে সাত টাকা বেড়ে গিয়েছে। শনিবার কাঁথিতে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৭৩ টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে।

এক দিকে লকডাউন চলায় কয়েক মাস ধরে ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। তার উপরে এভাবে জ্বালানির দাম বেড়ে গেলে ব্যবসা চালানো মুশকিল হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা ট্রলার মালিকদের। সুধীর ভূঁইয়া নামে এক ট্রলার মালিক বলেন, ‘‘এক একটি ট্রলার এক সপ্তাহের জন্য মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে চলে যায়। তাই প্রতিবার কমপক্ষে দেড় লক্ষ টাকার ডিজেল কিনতে হয়।’’ এছাড়া, ট্রলার ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্য খরচও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি মৎস্যজীবী সংগঠনের। এ ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যজীবী ফোরামের সম্পাদক দেবাশিস শ্যামল বলেন, ‘‘জাল, দড়ি, বরফ, সব কিছুর সরঞ্জামের দাম আকাশ ছোঁয়া। এবার তেলের দাম এত বাড়লে ট্রলার মালিকদের ব্যবসা চালানোর খরচ আগের তুলনায় এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে।’’

Advertisement

ট্রলার মালিকদের পাশে দাঁড়িয়ে ‘দিঘা ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘‘জ্বালানি তেলের দাম কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে লোকসানে চলা মাছের কারবার মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। তাই ট্রলার মালিকদের স্বার্থ দেখার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে আবেদন করা হয়েছে। যাতে মৎস্যজীবীদের জন্য জ্বালানি তেলের দামে উভয় সরকার ভর্তুকি দেয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement