Manas Bhuiyna

এগরার পর ঝাড়গ্রাম, এ বার কুড়মি বিক্ষোভে থমকাল মানসের কনভয়, কী আশ্বাস দিলেন মন্ত্রী?

বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি মোড়ে ঘাঘর ঘেরা (চারদিক থেকে ঘেরাও) করেছিল কুড়মি সমাজ। চলছিল স্লোগান। সেখানে আটকে যায় মানস ভুইয়াঁর কনভয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ ১৭:২২
Share:

থমকাল মানস ভুইয়াঁর কনভয়। — নিজস্ব চিত্র।

পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বিস্ফোরণে নিহত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বুধবার স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুইয়াঁ। ঠিক তার পর দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রীর কনভয় ঝাড়গ্রামে থমকে গেল কুড়মিদের বিক্ষোভের জেরে। এগরায় ক্ষোভের মুখে পড়ে ‘রাম-বামের আঁতাঁত’-এর অভিযোগ করেছিলেন মানস। ঝাড়গ্রামে অবশ্য ‘ঠান্ডা মাথা’য় পরিস্থিতি সামলেছেন তিনি। কুড়মি আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি মোড়ে ঘাঘর ঘেরা (চারদিক থেকে ঘেরাও) করেছিল কুড়মি সমাজ। চলছিল স্লোগান। সেই সময় বেলপাহাড়ি যাওয়ার পথে মানসের কনভয় আটকে যায়। কনভয় থামতেই মানস গাড়ি থেকে নেমে চলে যান আন্দোলনকারীদের কাছে। কথা বলেন কুড়মি সমাজের নেতা রাজেশ মাহাতোর সঙ্গে। তিনি আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে দাবিপত্র নেন। কুড়মি সমাজের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘‘আমি আপনাদের সমাজের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা জানাই। আমার রাজনৈতিক এবং সামাজিক জীবনে আপনাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও খুবই সহানুভূতিশীল।’’

বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এবং বিধানসভায় উত্থাপন করার আশ্বাসও দেন মানস। তাঁর কথায়, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে একটা জায়গায় আসতে পারব বলে আশা করছি।’’ তবে এ-ও বলেন, ‘‘প্রশাসনিক ভাবে বিষয়টি চূড়ান্ত করবে কেন্দ্র। রাজ্যের হাতে ক্ষমতা নেই।’’ বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখার বার্তাও দেন মানস। কিছু ক্ষণ পর মানস রওনা দেন গন্তব্যের উদ্দেশে।

Advertisement

মানসের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজেশ বলেন, ‘‘৭৩ বছর ধরে বঞ্চনা চলছে। রাজ্য সরকারের যা করণীয় তার অনেকটাই হয়েছে। তবে আর একটু কাজের জন্য কেন বসে থাকতে হবে?’’

মানস এগরায় গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বুধবার। আবার ওই একই দিনে খড়্গপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাংলোয় জমায়েত করেন কুড়মিরা। বিক্ষোভকারীরা বাংলোর মূল ফটক ভেঙে ভিতরে ঢুকেও গিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement