প্রতীকী ছবি।
সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে কিশোর দণ্ডপাট নামে ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন নিগৃহীতা। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহ পঞ্চায়েতের বেনাশুলির নয়াগ্রামে।
ঘটনাটি শনিবারের। রবিবার মহিলা গুড়গুড়িপাল থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত অবশ্য ধরা পড়েনি। মেদিনীপুরের এক পুলিশকর্তা মানছেন, ‘‘এক মহিলার অভিযোগ এসেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই করা হবে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত কিশোর এলাকায় নেই। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা প্রকল্পে ব্লকভিত্তিক বাড়ি বরাদ্দ হয়েছে। কোন ব্লক কতগুলি বাড়ি পাচ্ছে, সে তালিকা পাঠানো হয়েছে ব্লকে। আবাস যোজনার সব প্রাপকের নাম রেজিস্ট্রেশন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে জেলা থেকে। সেই মতো ব্লকে ব্লকে এখন এই রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে। অভিযোগকারী মহিলা জানাচ্ছেন, শনিবার রেজিস্ট্রেশনের কাজে তাঁর বাড়িতে পঞ্চায়েতের এক কর্মী এসেছিলেন। তাঁর পিছু পিছু আসে কিশোর। কাজ শেষে ফিরে যান পঞ্চায়েতের কর্মী। কিন্তু কিশোর যাননি। মহিলা বলেন, ‘‘সেই সময় শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী কেউই ছিলেন না। একা পেয়ে ওই যুবক আমাকে শারীরিক সম্পর্কে জোর করে। বলে সম্পর্ক করলে বাড়ি পাইয়ে দেবে।’’ মহিলার অভিযোগ, ‘‘আমি রাজি না হওয়ায় ও আমার হাত ধরে, শাড়ি ধরে টানাটানি করে। আমার শ্লীলতাহানি করে। জোর করে ঘরের মধ্যে টেনে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে।’’
মহিলা জানান, তিনি কোনও ভাবে ছুটে বেরিয়ে এসে চিৎকার করেন। তখন পাড়ার কিছু লোক ছুটে আসেন। তখন কিশোর পালিয়ে যায়। মহিলার দাবি, ‘‘যাওয়ার সময়ে কিশোর জানিয়ে গিয়েছিল, পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ভাল হবে না। আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার হুমকিও দেয়।’’
ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। দলের স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি সুজয় দাস বলেন, ‘‘সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে শ্লীলতাহানি। ভাবা যায়! পুলিশের উচিত ওই তৃণমূল কর্মীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা।’’ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অঞ্জন বেরার বক্তব্য, ‘‘ঘটনার কথা শুনেছি। বিষয়টি দেখছি।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির আশ্বাস, ‘‘দল কোনও অন্যায় কাজকর্মকে প্রশ্রয় দেয় না। দেবেও না। দোষ করলে শাস্তি হবেই।’’