দিঘায় পরিদর্শনে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। নিজস্ব চিত্র
মঙ্গলবার এবং বুধবার হতে পারে ভারী বৃষ্টি— এমনটাই পূর্বাভাস রয়েছে আবহাওয়া দফতরের। সে জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। হলদিয়া এবং নন্দীগ্রাম এলাকায় মাইকে করে সোমবার থেকে সতর্কবার্তা প্রচারের কাজ শুরু হয়েছে।
হলদিয়া মহাকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক, মহকুমা এবং জেলা স্তর কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেগুলি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য দিনভর বৈঠক করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের নদীতে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। চলতি বছরে একাধিকবার মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের সাক্ষী থেকেছে পূর্ব মেদিনীপুর। এখনও পর্যন্ত আগের সপ্তাহের নিম্নচাপের বৃষ্টি এবং নদীর বাঁধ ভাঙার ফলে জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায়। তার উপরে ফের চলতি সপ্তাহে ভারী বৃষ্টি হতে চলছে।
এই সম্ভাবনায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন জেলার কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা। নন্দীগ্রামের কালিচরণপুর, কেন্দেমারি, গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে জলমগ্ন হয়েছিল মাসখানেক আগেই। আরও একবার নিম্নচাপে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তাগ্রস্ত ওই এলাকার বাসিন্দারা। প্রশাসনের তরফে হলদিয়া মহাকুমার সব গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে মাইকে করে সতর্ক করা হচ্ছে মানুষদের। হলদিয়া মহকুমার শতাধিক স্কুলকে ত্রাণ শিবির হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেসব এলাকায় কাঁচা বাড়ি রয়েছে, সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শুকনো খাবার, ত্রিপল মজুত রাখা হয়েছে।
হলদিয়ার মহকুমাশাসক লক্ষ্মণ পেরুমল আর বলেন, ‘‘ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই সেটা মোকাবিলা করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে আগাম কিছু প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে মাইকে প্রচার শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ শিবির খোলর জন্য স্কুলগুলিকে চিহ্নিতকরণ করে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়ে গিয়েছে।’’