প্রতীকী ছবি।
এক দিন আগেই কোলাঘাটের মানুয়া হাইস্কুলে ঢুকে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের মারধরের অভিযোগ অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার রেশ কাটার আগেই বুধবার পাঁশকুড়ায় স্কুলে আসার পথে ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় পাঁচ ছাত্র আহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ পাঁশকুড়ার বাকুলদা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রেরা স্কুলে আসছিল। সে সময় পূর্ব বাকুলদা মোড়ের অদূরে দুই যুবক মোটরবাইকে যেতে যেতে তাদের অশালীন ইঙ্গিত করে বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, কিছুক্ষণ পর ওই দুই যুবক মোটরবাইক থামিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রকে গালি দেয়। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। তা গড়ায় হাতাহাতিতে। ঘটনায় পাঁচ ছাত্র আহত হয় বলে অভিযোগ।
ওই যুবকদের দাবি, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রেরা তাদের ব্যঙ্গ করেছে। যদিও স্কুল ছাত্রদের দাবি, তারা এমন কিছুই বলেনি। দুই যুবকের মারের হাত থেকে বাঁচতে ছাত্রেরা সাইকেল চালিয়ে স্কুলে এসে ঢুকে পড়ে এবং বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে জানায়। ততক্ষণে ওই দুই যুবক এলাকার আরও কিছু যুবককে সঙ্গে নিয়ে স্কুলের গেটের সামনে থেকে চেঁচিয়ে ওই ছাত্রদের হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ।
স্কুল সূত্রের খবর, পরিস্থিতি সামাল শিক্ষকেরা ওই যুবকদের সঙ্গে কথা বলতে যান। কিন্তু তাতে যুবকেরা আরও উত্তেজিত হয়ে ফের মারধরের হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে, স্কুলের সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বেরিয়ে এসে অভিযুক্তদের ঘিরে ধরে। তারপর তাদের আটক করে স্কুলের অফিস ঘরে বসিয়ে খবর দেওয়া হয় পাঁশকুড়া থানায়। পুলিশ এসে ওই দুই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, দুই যুবকের নাম দেবাশিস সিংহ এবং সন্দীপ মণ্ডল। দেবাশিসের বাড়ি পশ্চিম বাকুলদায় এবং সন্দীপ পূর্ব বাকুলদা গ্রামের বাসিন্দা। তাদেরকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, আহত ছাত্রদের চিকিৎসার জন্য পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, একজনের হাতের আঙুল ভেঙে গিয়েছে। আরেক জনের গলায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। বাকুলদা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহন মণ্ডল বলেন, ‘‘ছাত্ররা স্কুলে আসার সময় এলাকার দুই যুবক তাদের উপরে আক্রমণ করে। আমরা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশকে স্কুলে নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও জানিয়েছি।’’