নবান্ন। ফাইল চিত্র।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের যাবতীয় কাজ শেষ করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ রূপায়ণের পথে কতটা এগোল জেলা তা খতিয়ে দেখতে এ বার বৈঠক ডাকা হল নবান্নে। আজ, শুক্রবার নবান্নে ওই বৈঠক হওয়ার কথা। বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যের পরিকল্পনা- উন্নয়ন উপদেষ্টা জয়া দাশগুপ্ত। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলাকে নিয়ে শুক্রবার এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। দুই জেলার তরফে ওই বৈঠকে থাকার কথা সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) এবং জেলার পরিকল্পনা- উন্নয়ন আধিকারিকের।
প্রশাসন সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬০টি প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে পর্যালোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এপ্রিলে নতুন অর্থবর্ষ শুরু। প্রশাসনের শীর্ষমহলের অভিজ্ঞতা হল, দফতরগুলি আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাস (এপ্রিল থেকে জুন) পরিকল্পনা তৈরি, বিভিন্ন প্রকল্প চিহ্ণিত করে তার সবিস্তার রিপোর্ট তৈরি, প্রশাসনের অনুমোদন নেওয়া এবং দরপত্র চূড়ান্ত করার কাজে ব্যয় করে। এই পর্ব যখন শেষ হয়, ততদিনে বর্ষার মরসুম শুরু হয়ে যায়। ফলে, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করতে সেপ্টেম্বর- অক্টোবর হয়ে যায়। প্রকৃত খরচও শুরু হয় সেই সময় থেকেই। যদিও দফতরগুলির হাতে খরচ করার মতো টাকা পড়ে থাকে অনেক আগে থেকেই।
মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, উন্নয়নের কাজে তিনি কোনও ঢিলেমি দেখতে রাজি নন। বিভিন্ন পর্যালোচনা বৈঠকে প্রায় নিয়ম করে তিনি সচিবদের জানিয়ে দেন, উন্নয়নের কাজ যেন কোনও মতেই থমকে না থাকে। এর আগে দুই জেলায় এসে সরেজমিনে প্রকল্পগুলির অগ্রগতি দেখে গিয়েছেন জয়া। তিনি এক সময়ে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) ছিলেন। তার আগে উন্নয়ন- পরিকল্পনা সচিবও ছিলেন।
প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, বৈঠকে বরাদ্দ টাকা খরচের সঙ্গে কাজের অগ্রগতি মিলিয়ে দেখা হতে পারে। বকেয়া কাজ সম্পূর্ণ করতে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হতে পারে। লক্ষ্যপূরণে দ্রুত কাজ শেষের পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিকের অবশ্য দাবি, ‘‘জেলাস্তরেও প্রকল্প ধরে ধরে পর্যালোচনা হয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। সমস্যার সমাধানেরও চেষ্টা চলছে।’’