প্রতীকী চিত্র।
পুরভোটের দিন ঘোষণা হয়নি। তবে ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই মাঠে নেমে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। খড়্গপুর পুরসভা নিয়ে ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে লড়াই। শুক্রবার দলের কোর কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। বাম-কংগ্রেস ইতিমধ্যেই আলাদা ভাবে বৈঠক করেছে। চলতি সপ্তাহে তাদের যৌথ বৈঠকে বসার কথা।
শনিবার বিকেলে খড়্গপুরের ইন্দায় বৈঠকে বসেছিল সিপিএম। সেখানে দলের জেলা সম্পাদক তরুণ রায়ের উপস্থিতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, ২০১৫ সালের পুর নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস যে যেখানে জিতেছিল সে সেখানেই প্রার্থী দেবে।
গত পুরসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ১১টি ও বামেরা ৬টি আসনে জিতেছিল। যদিও পরবর্তীকালে দুই দলেরই অনেক কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেয়। তবে সে কথা মাথায় না রেখে গত নির্বাচনের ফল ধরেই এগোবে জোট, এমনই জানা গিয়েছে। তাই ১৭টি আসন নিয়ে কোনও বোঝাপড়া হবে না। টানাপড়েন হতে পারে বাকি ১৮টি আসন নিয়ে। কারণ গত পুর নির্বাচনে ১৩টি আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস যদি জেতা ১১টি ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা ১৩টি নিয়ে মোট ২৪টি আসনে প্রার্থী দিতে চায় তাহসে আপত্তি জানাতে পারে বামেরা। কারণ সেক্ষেত্রে ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ১১টি আসনে প্রার্থী দিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে তাদের। তাই যৌথ বৈঠকের আগে বাম ও কংগ্রেস দু’পক্ষই নিজেদের গুছিয়ে নিতে চাইছে। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য প্রার্থী খুঁজতে শুরু করেছে। সিপিএম বুথ কমিটি তৈরি করছে।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য তথা রেলশহরের নেতা অনিতবরণ মণ্ডল বলেন, “আমরা জোটে যাচ্ছি বলেই ঠিক রয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ বৈঠকে বসে বাকি আলোচনা হবে।’’ কংগ্রেসের জেলা কার্যকরী সভাপতি তথা খড়্গপুরের নেতা দেবাশিস ঘোষের কথায়, “আমরা নিজেদের মধ্যে দু’দফায় বৈঠক করেছি। আসন কীভাবে ভাগাভাগি হবে সেই নিয়ে যৌথ বৈঠক হবে।”