Medinipur

সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে মেদিনীপুরের তরুণ! পুত্রের কৃতিত্বে খুশি পুলিশ মা

এত কম বয়সে সাধারণতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ায় খুশি বর্ণিকের মা কবিতা। তাঁরও আমন্ত্রণ ছিল। কিন্তু কাজের কারণে যেতে পারেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:১২
Share:

দিল্লিতে বাবার সঙ্গে বর্ণিক কানুনগো। —নিজস্ব চিত্র।

২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিলেন মেদিনীপুরের তরুণ। প্রতিরক্ষা বিষয়েই পড়াশোনা করেন তিনি। পুত্রের কৃতিত্বে খুশি পরিবার। তবে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত তাঁর মা। তিনি আবার পূর্ব বর্ধমানের মহিলা থানার আইসি।

Advertisement

মেদিনীপুর শহরে বার্জটাউনের বাসিন্দা বর্ণিক কানুনগো। পড়াশোনার সূত্রে থাকেন গুজরাতের গান্ধীনগরে। তিনি সেখানকার রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ‘ডিফেন্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি’ বিষয়ে অধ্যয়ন করছেন। তবে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা করেন মেদিনীপুরেই। শহরের বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতন থেকে উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পরই উচ্চশিক্ষার জন্য গুজরাতে পাড়ি দেন বর্ণিক। স্কুলজীবনেও কুচকাওয়াজে অংশ নিতেন তিনি। পরে কলেজে গিয়ে এনসিসিতে যোগ দেন। সুযোগও আসে সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির কর্তব্যপথে কুচকাওয়াজ করার। বর্ণিকের কুচকাওয়াজ দেখতে মেদিনীপুর থেকে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা বাসব কানুনগো।

এত কম বয়সে সাধারণতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ায় খুশি বর্ণিকের মা কবিতা। তাঁরও আমন্ত্রণ ছিল। কিন্তু কাজের কারণে যেতে পারেননি। টিভির পর্দাতেই পুত্রের অনুষ্ঠান দেখেন তিনি। ছোট থেকেই পুত্রকে উদ্বুদ্ধ করতেন কবিতা। ২০১৪ সালে ভাল তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদক পেয়েছিলেন কবিতা। ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদকও পেয়েছেন তিনি। নিজের কাজের মধ্য়ে দিয়ে ছেলেকে উৎসাহিত করেছেন বলে জানান কবিতা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement