মেদিনীপুর শহরে বিদ্যাসাগর পার্ক। নিজস্ব চিত্র
পর্যটকদের জন্য বন পর্যটন খুলে দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। বুধবার থেকে খুলেছে বন পর্যটন। তবে পার্কগুলি খুললেও এখনই সকলে প্রবেশ করতে পারবেন না। কারণ, খোলার পর পার্কগুলি জীবাণুমুক্ত করা হবে। শুরু হবে সংস্কারের কাজ। তারপরই সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে দ্বার।পার্ক খোলার সিদ্ধান্ত হলেও, জটিলতা কাটেনি অনলাইন বুকিং নিয়ে। বন দফতর সূত্রের খবর, এখনও এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা পৌঁছয়নি জেলায়। বন দফতরের নগর ও বিনোদন শাখার ৪ টি পার্ক ও উদ্যান রয়েছে জেলায়। এরমধ্যে ৩টিই মেদিনীপুর শহরে। পুলিশ লাইনের সামনে সুকুমার স্মৃতি উদ্যান, শরৎপল্লির সামনে বিদ্যাসাগর পার্ক, মোহনপুরের ক্ষুদিরাম পার্ক। এ ছাড়া রয়েছে চন্দ্রকোনা রোডের পরিমল পার্ক।
করোনা পরিস্থিতির জন্য মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে তালাবন্ধ এই পার্ক ও উদ্যান গুলি। প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর বন পর্যটন খুলে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তার পরই জেলার ৪ টি পার্ক ও উদ্যান খোলার তোড়জোড় শুরু করেছে বন দফতরের নগর ও বিনোদন শাখার মেদিনীপুর রেঞ্জ। রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তাপস কারক বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা মেনে জেলার ৪ টি পার্ক ও উদ্যান খোলার প্রস্তুতি চলছে। করোনা বিধি মেনে সর্বত্র পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন করে তবেই ভ্রমণপিপাসুদের জন্য খোলা হবে এগুলি।’’
যদিও পার্ক ও উদ্যান খোলার একদিন আগেও আগোছালোভাব কাটেনি ৪ টি পার্কেই। যত্রতত্র আগাছায় ভরেছে পার্কের ভিতরের অংশ। দোলনা, স্লিপার, বসার বেঞ্চ, কংক্রিটের ছাতা সহ প্রায় সবকিছুরই ভাঙাচোরা অবস্থা। জমে রয়েছে নোংরা আর আবর্জনা। পার্কে বেড়েছে সাপেদের আনাগোনা। বন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘পার্ক বন্ধ থাকায় নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি, তাছাড়া মাঝে আমপান সহ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ গিয়েছে। ফলে পার্কের ভাল ভাল গাছ উপড়েছে, ভেঙেছে। পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হয়েছে সুসজ্জিত ফুলের বাগান, ভেষজ গাছগাছালির উদ্যান।’’
পার্ক ও উদ্যানের এসব আগোছালোভাব কাটিয়ে দ্রুত সেগুলি খোলার তোড়জোড় শুরু করলেও বনদফতরের নগর ও বিনোদন শাখাকে ভাবাচ্ছে অনলাইন বুকিং ব্যবস্থা নিয়ে। কারণ, সব জায়গায় অনলাইনে বুকিং করার পরিকাঠামো নেই। সে ক্ষেত্রে কীভাবে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে তা নিয়ে সুর্নিদিষ্ট নির্দেশিকা এখনও পৌছায়নি জেলায়। তারফলে রয়ে গিয়েছে ধোঁয়াশা। তাপস মানছেন, ‘‘অনলাইন বুকিংয়ের ব্যবস্থা নিয়ে ভাবা হচ্ছে, উচ্চস্তরেও জানানো হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মেনেই বুকিং ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।’’