সুশান্ত ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের মদতে মাওবাদীরা নেতাইয়ের ঘটনা সংগঠিত করেছিল। সত্যিটা প্রমাণিত হবে। নেতাই দিবসের ১০ বছর পূর্তিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুললেন সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডে কৃষি আইনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সুশান্ত বলেন, ‘‘নেতাই নিয়ে ইঙ্গিত দেওয়া আছে আমার লেখা বইয়ে। আইন রক্ষা করে যতটুকু বলা যায় ততটুকু বলার চেষ্টা করেছি। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিপিএমকে কালিমালিপ্ত করার জন্য পরিকল্পনা ছিল। সেটাই করেছে তৃণমূল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সেই সময় মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। যে হেতু বিষয়টা বিচারাধীন তাই এর বেশি কিছু নেতাই ঘটনা নিয়ে বলা সম্ভব নয়।’’
তৃণমূলের ভাঙন সম্পর্কে সুশান্ত বলেন, ‘‘বিজেপি-তে গিয়ে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। আষ্টেপৃষ্ঠে দুর্নীতি যাঁদের গায়ে, তাঁরা এখন বিজেপিতে। আমি কারও নাম নিয়ে তাঁকে নায়ক বানাব না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝে গিয়েছে তৃণমূল কী আর বিজেপি কী।’’ এ বারে নির্বাচনে তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে না বলেও কটাক্ষ করেন সুশান্ত।
তবে নেতাইবাসীর দাবি, ওই ঘটনা সিপিএমই ঘটিয়েছিল। সিপিএমের নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে সে দিন গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। মারা গিয়েছিলেন ৯ গ্রামবাসী। ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। গ্রেফতার হন সিপিএমের বেশ কয়েক জন নেতা-নেত্রী। ঘটনার ১০ বছর পর সুশান্তর ব্যাখ্যা, ‘‘তৃণমূলের মদতে ওই ঘটনার পিছনে মাওবাদীরাই ছিল।’’