ঘাটালের বহু মণ্ডপেই শেষ পর্বের কাজ চলছে। —নিজস্ব চিত্র।
বন্যা পরিস্থিতির জেরে জলমগ্ন এলাকায় দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজই সেরে উঠতে পারেননি ঘাটালের বহু উদ্যোক্তা। ষষ্ঠীর দিনেও তাই বহু মণ্ডপের কাজ চলছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টির জেরে চার বার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায়। ঘাটাল পুরসভা, ঘাটাল ব্লক, দাসপুর ব্লক, চন্দ্রকোনা এলাকায় শিলাবতী, ঝুমি, কাঁসাই নদীর জল উপচে ঢুকে পড়েছিল। বৃষ্টি থামলেও বন্যার জল নামতে সময় লেগে যায়। জলমগ্ন এলাকায় কী ভাবে পুজোর মণ্ডপ তৈরি করবেন? চিন্তায় পড়েন বহু উদ্যোক্তা। বহু জায়গায় ষষ্ঠীর দিনেও মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। কোথাও বা প্রতিমা বসানোর বেদীটিকে উচুঁ করা হয়েছে। দুর্গাপুজোর আনন্দ যাতে মাটি না হয়, সে জন্য মণ্ডপশিল্পীদের সঙ্গে কাজে হাত লাগিয়েছেন উদ্যোক্তারাও।
প্রায় ১০-১৫ ফুট জল জমে থাকায় মণ্ডপ তৈরি করা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন ঘাটাল পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুর এলাকার সাতের পল্লি দুর্গাপুজো কমিটি। কমিটির সম্পাদক সিদ্ধার্থ চৌধুরী বলেন, ‘‘বন্যার জল নামলেও মনের মতো থিম করা সম্ভব হচ্ছে না। সোমবারও চলছে মণ্ডপ গড়ার কাজ। রাতেই মণ্ডপের কাজ শেষ করতে হবে। মঙ্গলবার সকালে কলাবউ স্নানের পর পুজো শুরু হয়ে যাবে।’’
রামচন্দ্রপুরের মতোই দাসপুর ১ ব্লকের হোসেনপুর গ্রামের পুজোমণ্ডপ তৈরি হচ্ছে । সোমবার সারা রাত ধরে কাজের পর তা শেষ হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি অশোককুমার সিংহ। মহালয়ার দিনেও জলমগ্ন ছিল মণ্ডপ। প্রায় এক কোমর জল ধীরে ধীরে নামার পর সেখানে মণ্ডপের বাকি কাজ শুরু হয়েছে। বন্যার সময় বাঁশের কাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছিল। নৌকা, ভেলায় করে কারিগরেরা কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।