চলছে করোনার নমুনা পরীক্ষা। — নিজস্ব চিত্র।
দিঘা পেরলেই শুরু ওড়িশা। এত দিন এই এলাকায় সাধারণ চেক পোস্ট থাকলেও দুই রাজ্যে ঢোকা বেরোনোয় তেমন কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। করোনা আবহে তাতে লাগাম টানল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এখন থেকে ওড়িশার দিক থেকে বাংলায় ঢুকতে গেলে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। মঙ্গলবার থেকেই সীমানায় শুরু হয়েছে নাকা তল্লাশি।
পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ১ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও উৎপল রায়ের নেতৃত্বে দিঘা থানার পুলিশ সীমানা এলাকায় নাকা তল্লাশি শুরু করেছে। উৎপল বলেন, “সীমানা দিয়ে প্রতি দিন প্রচুর মানুষ কাজের সূত্রে দিঘা হয়ে এ রাজ্যে প্রবেশ করেন। তাঁদের মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। তাই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই কারণে মঙ্গলবার থেকে নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ওড়িশার দিক থেকে কেউ দিঘায় প্রবেশ করলে তাঁর করোনার নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছি। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই রাজ্যে ঢোকার ছাড়পত্র মিলবে। যদি কেউ পজিটিভ হন এবং তিনি এ রাজ্যের বাসিন্দা হন, তবে তাঁকে গৃহ নিভৃতবাসে যেতে বলছি। প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা আছে। তবে ওড়িশার বাসিন্দা হলে, তাঁকে নিজের রাজ্যে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।”
উৎপলের দাবি, মঙ্গলবার থেকে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ২০ বেডের কোভিড ইউনিট চালু হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে সেফ হোমেরও ব্যবস্থা হচ্ছে। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় স্ফীতির সময়ে বাংলা ও ওড়িশা— দুই প্রশাসনের তরফেই কড়াকড়ি করা হয়েছিল। বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল দিঘার সীমানা। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আগামী দিনে পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতেই আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।