দুবরাজপুরে অবস্থান। নিজস্ব চিত্র
উপ-নির্বাচনে তিন কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ের পরে খড়্গপুরে এসে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। তবে তারপরেও মারধর, বোমাবাজির অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে সরগরম হল সবং।
শুক্রবার রাত থেকে সবংয়ের বিভিন্ন এলাকায় গোলমাল হয়। কোথাও বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। আবার কোথাও দলের কর্মীকে মারধরের অভিযোগে অবস্থানে বসেছে তৃণমূল। মারধরের পাল্টা অভিযোগ সামনে এনেছে বিজেপিও। সবংয়ের ব্লকের মোহাড়, দশগ্রাম, বলপাই এলাকায় গোলমাল বেশি হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে নাকাল হতে হচ্ছে পুলিশকেও। এমনকি পুলিশের একাংশ বিজেপির সঙ্গে মিশে রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের অভিযোগ, মোহাড় পঞ্চায়েতের মিঠাপুকুরের তৃণমূলের কর্মী অশ্বিনী জানা তাঁর ছেলে বরুণকে নিয়ে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার সময় হামলা চালায় বিজেপি। ময়নার বাকচা থেকে দুষ্কৃতী এসে ওই এলাকায় প্রতিদিন বোমাবাজি করছে। এ দিন ওই পঞ্চায়েতেরই দুবরাজপুরে দিদিকে বলো কর্মসূচিতে গিয়ে সেই অভিযোগ শোনেন যুব তৃণমূলের সবং ব্লক সভাপতি আবু কালাম বক্স। তারপরে সেখানেই অবস্থানে বসেন তিনি। পরে সেখানে যোগ দেন সাংসদ মানস ভুঁইয়া ও বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া। বিজেপিও পাল্টা অভিযোগ তুলেছে। তাদের অভিযোগ, ওই এলাকার বিজেপি কর্মী মদন ভুঁইয়া তাঁর ভাইকে বাস স্টপেজে ছেড়ে বাড়ি ফেরার পথে মিঠাপুকুরের কাছে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে শুক্রবার রাতেই দশগ্রামের কোলন্দায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত তৃণমূল। ওই রাতে বিজেপি কর্মী নির্মল বেরার বাড়ির জানালা লক্ষ্য করে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। সেই জানালার ধার ঘেঁষে বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন নির্মলের মা বিষ্ণুপ্রিয়া বেরা। বোমার স্প্লিন্টারে সামান্য জখম হন তিিন। বুথ নেতা নির্মলের দাবি, “রাত প্রায় ১১টা ১৫ নাগাদ বোমাবাজি হয়।’’ তাঁর অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতা অতনু সিংহের বিরুদ্ধে। অতনুর অবশ্য অভিযোগ মানেননি। তাঁর পাল্টা দাবি, “আমার ঠাকুমা মারা গিয়েছেন। দিন দু’য়েক আগেই তাঁর শ্রাদ্ধশান্তি হয়েছে। তাই আমার বিরুদ্ধে ওঠা এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিজেপি সাজিয়ে এসব অভিযোগ করছে।”