তমলুকের রামতারকের হোগলবাড়ির বাসিন্দা সুদীপ স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মোটরবাইকে। কোলাঘাটের রাস্তায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৩ জনের। —প্রতীকী চিত্র।
ট্র্যাফিক সিগনালে দাঁড়িয়ে ছিল পর পর গাড়ি। সিগনাল সবুজ হতেই তড়িঘড়ি বাইক নিয়ে রাস্তায় ওঠার চেষ্টা করেছিলেন এক যুবক। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে একটি যাত্রিবাহী বাসের চাকার তলায় পড়লেন তিনি। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ওই বাইকচালক, তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানের। বুধবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত বাইকচালকের নাম সুদীপ কালসা। তমলুকের রামতারকের হোগলবাড়ির বাসিন্দা সুদীপ স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ মোটরবাইকে সপরিবারে বাড়ি ফিরছিলেন সুদীপ। কোলাঘাটের হলদিয়া মোড়ের কাছে সিগন্যালের সামনে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সুদীপ। ওই সময় পর পর বাস এবং অন্যান্য গাড়ি লাইন করে দাঁড়িয়ে ছিল। সুদীপ মোটরবাইক নিয়ে মূল সড়ক থেকে সরে একধারে দাঁড়ান। সিগনাল সবুজ হতেই তড়িঘড়ি বাইক নিয়ে রাস্তায় ওঠার চেষ্টা করেন। বাইকের সামনের চাকা রাস্তার ওপরে উঠে এলেও পিছনের চাকা আটকে পড়ে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি রাস্তার উপরে পড়ে যায়। ঠিক ওই সময় একটি যাত্রিবাহী বাস পিছন থেকে এসে পিষে দিয়ে চলে যায় সুদীপ, তাঁর স্ত্রী এবং ২ বছরের সন্তানকে। অকুস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জনের।
খবর পেয়ে কোলাঘাট থানার পুলিশ ছুটে এসে তিন জনকে উদ্ধার করে। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে। এই দুর্ঘটনার কারণে বেশ কিছু সময় ওই রাস্তায় যানজট শুরু হয়। পরে পুলিশ ঘাতক বাস ও মোটরবাইকটিকে উদ্ধার করার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।