—প্রতীকী চিত্র।
ছয বছর আগে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে দিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লুসকি সোরেনের। ছয় বছরের পুরনো সেই মামলায় লুসকির স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনাল মেদিনীপুর জেলা আদালত। শনিবার বুকাই সোরেন নামে ওই আসামির সাজা ঘোষণা করেন মেদিনীপুর আদালতের বিচারক সেলিম শাহি।
২০১৭ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর। সে দিন ছিল বিশ্বকর্মা পুজো। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা বুকাইয়ের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী লুসকির মারাত্মক অশান্তি শুরু হয়। স্ত্রীকে মারধর করতে করতে একটা সময় ঘরে পড়ে থাকা একটি ধারালো অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন বুকাই। কোপ বসিয়ে দেন লুসকির গলায়। প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। কিন্তু লুসকিকে বাঁচানো যায়নি।
ওই ঘটনায় মৃতের বাপের বাড়ির পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করে। লুসকির ভাই সনাতন মান্ডি দাঁতন থানায় অভিযোগ করেন জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। দাবি করেন, তাঁর দিদিকে খুন করেছেন জামাইবাবু। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত বুকাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই থেকে সংশোধনাগারে ছিলেন অভিযুক্ত।
শনিবার সাজা ঘোষণার পর সরকার পক্ষের আইনজীবী শক্তিপদ দাস অধিকারী বলেন, ‘‘দাঁতন থানায় অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ বুকাইকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ২০১ ধারায় মামলা রুজু হয়। আদালতে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে শুক্রবার বুকাইকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। দোষী সাব্যস্ত করার এক দিন পর বিচারক সাজা ঘোষণা করলেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও আসামিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।’’ অন্য দিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী অনুপম জানা বলেন, ‘‘এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। তার আবেদন করছি।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ২০ আগে দাঁতনের সাস্তানগর গ্রামের বাসিন্দা বুকাইয়ের সঙ্গে লুসকির বিয়ে হয়। ওই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে।