অসিত জানার দুই শাগরেদকেও গ্রেফতার করেছে ঘাটাল থানার পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
সম্পত্তি নিয়ে মধ্যে বিবাদ ছিলই। সম্প্রতি টাকাপয়সার লেনদেন নিয়েও ঝামেলা শুরু হয়েছিল দুই ভাইয়ের মধ্যে। অভিযোগ, সেই আক্রোশেই শুক্রবার রাতে দুই শাগরেদকে সঙ্গে নিয়ে বড় ভাইয়ের বাড়িতে হামলা করেন ছোট ভাই। তবে স্থানীয়দের তৎপরতায় সে ‘ছক’ ভেস্তে যায়। ওই তিন জনকেই পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তাঁরা। শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার কামদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা কালীপদ জানার বাড়িতে হামলা করেন বলে তাঁর ছোট ভাই অসিত জানার বিরুদ্ধে অভিযোগ। অসিতের সঙ্গে তাঁর দুই শাগরেদ গোপীনাথ খাঁ এবং শ্রীকান্ত সামন্তও ছিলেন। রাতে কালীপদকে বাড়িতে না পেয়ে তাঁর এক ছেলেকে মারধর করতে থাকেন তাঁরা। খবর পেয়ে তাঁদের ঠেকাতে এগিয়ে আসেন পড়শিরা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। সে সময় অসিতের এক শাগরেদের পকেট থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র পড়ে যায়। তিন জনকেই ধরে ফেলেন এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে কালীপদর বাড়িতে পৌঁছয় ঘাটাল থানার পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তিন জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের কাছ থেকে চার রাউন্ড গুলিও উদ্ধার হয়েছে। পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই কালীপদর সঙ্গে অসিতের বিবাদ চলছিল। তাঁদের আদি বাড়ি ছিল চন্দ্রকোনা থানার কুলদহে। তবে বিবাদের জেরে সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে কামদেবপুরে চলে আসেন কালীপদ। ঘাটালেরই নারায়ণচকে বসবাস শুরু করেন অসিত। অভিযোগ, অসিতের আত্মীয়ের থেকে টাকা নিয়ে ফেরত দিচ্ছিলেন না কালীপদ। টাকার জন্য কালীপদকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিলেন অসিত।
শুক্রবার রাতে হামলার অভিযোগে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন কালীপদ। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখে তদন্তে নেমেছে ঘাটাল থানার পুলিশ। শনিবার ধৃত তিন জনকে শনিবার ঘাটাল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।