মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল চিত্র।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কেমন চলছে, প্রশাসনিক বৈঠকে সে খোঁজখবর নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোঝালেন হাসপাতাল চত্বরের কোথায় কোন বিভাগ রয়েছে, সে সবই তিনি জানেন। কিছু বিভাগ অন্যত্র স্থানান্তরেরও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে জেলার তরফ থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য জমি চিহ্ণিত হয়েছে। সে জমি হস্তান্তরও করা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বুধবার জেলাগুলির সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক হয়েছে। রাজ্যের তরফে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব প্রমুখ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তরফে ছিলেন জেলাশাসক রশ্মি কমল, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা, মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু, হাসপাতাল সুপার ইন্দ্রনীল সেন প্রমুখ। জেলাশাসকের কাছ থেকে একাধিক বিষয় সম্পর্কে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা প্রসঙ্গে বৈঠকে তিনি জানিয়ে দেন, হাসপাতালের কিছু ভবন পুরনো। কিছু বিভাগ অন্যত্র স্থানান্তর করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন। জেলাশাসক জানান, ভালভাবেই কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ‘দুর্বার গতি’তে কাজ করতে হবে। গত এক দশকে এই হাসপাতালে একাধিকবার এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে, হাসপাতালের কোথায় কি রয়েছে, সে সব তাঁর জানা। করোনা- পর্বেও এক প্রশাসনিক ভিডিয়ো বৈঠকে মেডিক্যালের কথা তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানে কোভিড ওয়ার্ড হয়েছে শুনে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘মেদিনীপুর কিন্তু হ য ব র ল হয়ে যাবে। এটা হতে দেওয়া যাবে না।’ তাঁর নির্দেশ ছিল, মূল ভবনে না- রেখে পৃথক জায়গায় ওই ওয়ার্ড করা। পরে অবশ্য পৃথক জায়গাতেই ওই ওয়ার্ড করা হয়েছিল।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য প্রায় সাড়ে ১৪ একর জমি দেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর শহরতলির মুড়াডাঙ্গায় খাস জমি রয়েছে। সেখানেই ওই পরিমাণ জমি দেওয়া হয়েছে। নবোদয় বিদ্যালয়ের অদূরে ওই পরিমাণ জমি পেয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে জমির কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে। জমির নকশাও দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে কিছু বিভাগ স্থানান্তর এবং নতুন কিছু ইউনিট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এরফলে, মেদিনীপুরেই নানা জটিল রোগের চিকিৎসা সম্ভব হবে। শীঘ্রই ওই পুরো জায়গার চারপাশ পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে।