মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
জেলায় ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে তাঁর সব সময়ে নজর রয়েছে, বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমলকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকেরা যাতে ৫ কেজি করে চাল পায় দেখে নিও।’’ বুধবার বিকেলে জেলাগুলির সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, শুরুতেই জেলাশাসকের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন, ‘‘রেশন যাতে ভাল করে চলে তা নজরে রাখছো তো?’’ রশ্মির উত্তর, ‘‘ইয়েস ম্যাম।’’ এরপরই বিভিন্ন এলাকায় পরিযায়ীদের ভালমন্দ দেখার জন্য দায়িত্ব ভাগ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘দীনেন, (দীনেন রায়) তুমি প্রদ্যোৎ (প্রদ্যোৎ ঘোষ) আর নান্টিকে (আশিস চক্রবর্তী) বলো একটু গড়বেতা, নারায়ণগড়, দাঁতনের সীমানা এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতে কোনও অসুবিধে না হয় দেখে নিতে। উত্তরা, (উত্তরা সিংহ) তুমি শালবনি, কেশপুর, কেশিয়াড়ি দেখে রাখবে। সৌমেন মহাপাত্র, মানস ভুঁইয়া- তোমাদের পিংলা, সবং, ডেবরা, বেলদা এই এলাকাগুলি কিন্তু দেখে রাখতে হবে। দীনেন, তুমি মেদিনীপুর, খড়্গপুর দেখে রাখবে।’’ পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ‘‘কেউ যাতে (বিরোধীরা) বদমাইশি করতে না পারে, উস্কানি দিতে না পারে, সে সব দিকেও নজর রাখবে।’’ পরিযায়ী শ্রমিকেরা কে কী কাজ করেন, তার তালিকা তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু পরিযায়ীরা নন। আমপানে বিপর্যস্ত চাষিদের পাশেও যে তাঁর সরকার রয়েছে তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। ভিডিয়ো বৈঠক থেকেই আমপানে বিপর্যস্ত চাষিদের কয়েকজনের হাতে আর্থিক সাহায্যের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।
একইভাবে চাষিদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে ঝাড়গ্রামের ভিডিয়ো বৈঠক থেকেও, আমপানের বিপর্যয়ে ঝাড়গ্রাম জেলায় ১২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিল রাজ্য সরকার। ঝাড়গ্রাম জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মোট ৭২ হাজার ৪২৫ জন চাষি এই টাকা পেয়েছেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম জেলায় ধান ও আনাজ-সহ মোট ২৫ হাজার ৭৬৫ হেক্টর ফসল নষ্ট হয়েছে। জেলায় ২ হাজার ৯৪৮টি মৌজায় চাষের ক্ষতি হয়েছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন লালগড় ব্লকের চাষিরা। এদিন জেলাশাসকের কার্যালয়ে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে তৃতীয় দফার টাকা দেওয়া হয়েছে। আটজন কৃষকের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।