মুখ্যমন্ত্রী আসছেন, সরল ত্রাণশিবির

মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য খালি করে দেওয়া হয়েছে একটি ত্রাণ শিবির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৮ ০০:২৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

জলে ভেসেছিল অরণ্যশহর। তারপরই শহরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ, বুধবার রাতে ঝাড়গ্রামে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরের দিন যোগ দেওয়ার কথা আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সরকারি সভায়। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য খালি করে দেওয়া হয়েছে একটি ত্রাণ শিবির।

Advertisement

সোমবার সাত নম্বর ওয়ার্ডের রেল লাইন বস্তির প্রায় একশোটি পরিবারকে পুরসভার পিছনে একটি বেসরকারি অতিথিশালার দোতলায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য আসা পুলিশ কর্মীদের থাকার জন্য মঙ্গলবার অতিথিশালার ত্রাণ শিবিরটি খালি করে দিতে হয়। ওই ওয়ার্ডেরই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরানো হয়েছে শিবির। সাত নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর গোবিন্দ সোমানি বলেন, "পুলিশের থাকার জন্য ত্রাণ শিবিরটি সরানো হয়েছে।" গৃহহীন ৭০টি পরিবার এখনও ত্রাণ শিবিরে আছেন। মূলত, গোবিন্দবাবুই নিজের উদ্যোগে ও নিজের খরচে ত্রাণ শিবিরটি চালাচ্ছেন। এদিন ত্রাণ শিবিরটি পরিদর্শন করেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ উমা সরেন। সাফাই কর্মী বিকাশ পরাশর, পরিচারিকা ঝর্না কালিন্দী বলেন, ‘‘পুলিশ আসায় এদিন অতিথিশালা থেকে জিনিসপত্র নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঠাঁই নিয়েছি।’’ সোমবার ২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ক্লাবের উদ্যোগে ত্রাণশিবির খোলা হয়েছিল। জল সরায় অনেকে ফিরেছেন। শিবিরটি পরিচালনা করছেন শাসকদলের কর্মীরাই।

সোমবার রাতে রাজবাড়ি চত্বরে পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব দুর্গত এলাকাবাসীর প্রতিনিধি দের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরাও। সিদ্ধান্ত হয়, ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির জন্য সরকারি অনুদান দেওয়া হবে। নিকাশি ঢেলে সাজতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement