মুকুল রায়ের হুমকির পর বদল করা হয়েছিল কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে। এ বার মুকুলের সুরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে ‘গ্যারাজ’ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নির্বাচন কমিশনকে বলেই যে দিলীপ এ কাজ করবেন তা-ও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভামঞ্চ থেকে বিজেপি নেতা মুকুল বলেছিলেন, ‘‘অভিষেক গুপ্ত, তুমি কত বড় এসপি দেখব।’’ এরপর মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন কোচবিহারের পুলিশ সুপারের পদ থেকে অভিষেককে সরিয়ে দেয়। কমিশনের এই পদক্ষেপের পর বুধবার পুলিশ প্রসঙ্গে সুর চড়ালেন দিলীপ। এ দিন দাঁতন, নারায়ণগড় ও বেলদায় একাধিক কর্মসূচি ছিল তাঁর। বেলদার কর্মিসভায় পুলিশকে আক্রমণ করে দিলীপ বলেন, ‘‘যদি পুলিশ ভয় দেখায়, সে এসপি, আইসি অথবা ওসি হোক, তাঁদের বলবেন তাঁদের উর্দিটা তৃণমূলের টাকায় নয়। নির্বাচন কমিশনকে বলে কোচবিহারের এসপির মতো গ্যারাজ করে দেওয়া হবে।’’ এর আগেও একাধিকবার পুলিশ-তৃণমূলের যোগসাজশের অভিযোগ করেছেন দিলীপ। এ দিন এক ধাপ এগিয়ে ‘গ্যারাজ’ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমরা আশা করব তিনি (পুলিশ সুপার) নিরপেক্ষ অফিসার হিসেবে তাঁর যোগ্যতা দেখাবেন। আমাদের কাজে বাধা এলে অভিযোগ জানাব।’’
পাল্টা প্রতিক্রিয়া এসেছে শাসক শিবির থেকেও। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘উনি (দিলীপ) আগামী ১২ তারিখ গ্যারাজ হচ্ছেন। তিনি এখন আতঙ্কিত হয়ে সকলকে গ্যারাজ করতে চাইছেন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
শুধু পুলিশ নয়, তৃণমূল কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিতে ছাড়েননি দিলীপ। দাঁতনের কর্মিসভায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘যাঁরা ভয় দেখাচ্ছেন, তাঁদের বলুন, আমরা তাঁদের নাম লিখে রাখছি। ভোটার লিস্ট থেকে নাম কাটিয়ে দেব। জেলের ভাত খাওয়াব।’’ এ ব্যাপারে অজিত বলেন, ‘‘আমাদের নাম লিখে লাভ নেই। আমরা ওঁর (দিলীপ) নাম লিস্ট থেকে বাদ দিয়েছি।’’ বেলদার কর্মিসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেছেন দিলীপ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘মোদীকে হিটলার বলছেন। তিনিই (মমতা) তো শাড়ি পড়া হিটলার। আপনার চেয়ে হিটলার কে আছে ?’’