প্রচারের ফাঁকে গ্রামবাসীদের সঙ্গেই পাত পেড়ে দুপুরের খাওয়া সারলেন বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধান্ত নস্কর। —নিজস্ব চিত্র।
সভা করতে এসে একজন কর্মীদের হাতে খেলেন মিষ্টি। তো অন্য জন গ্রামবাসীদের সঙ্গে মাঠেই বসে পড়লেন মধ্যাহ্ন ভোজনে। আবার লোকসভা ভোটের আর এক হেভিওয়েট প্রার্থী নাতনির সঙ্গেই খেলেই কাটিয়ে দিলেন দিনটা।
সোমবার ছিল বাংলা বছরের প্রথম দিন। ভোটের আবহাওয়ায় প্রচার চালিয়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলিই। কিন্তু রাজনৈতিক যুদ্ধের ময়দানে ছিল কোথাও একটা হালকা মেজাজ। এ দিন সকালে কর্মীদের নিয়ে সভা করতে কোলাঘাটের দেনান এলাকায় গিয়েছিলেন তমলুক কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী। সভার শুরুতে কর্মীদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন তিনি। পাল্টা হিসাবে কর্মীরা তাঁর মুখে তুলে দিলেন মিষ্টি। দিব্যেন্দু বলেন, ‘‘সভাতেই দেখি একদল কর্মী মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে হাজির। আমায় মিষ্টি মুখ করিয়ে ওঁরা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন। দিনটা ভালই কাটল।’’
তমলুকের বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্করের এ দিন প্রচারের হাতিয়ার ছিল জন সংযোগ। গ্রামের রাস্তায় হেঁটে প্রচারের ফাঁকে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসে পড়লেন পাত পেড়ে খেতে। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বুড়ারি বাজারে শিক্ষক সেলের সভায় যোগ দেন সিদ্ধার্থ। সেখানে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেই প্রচার শুরু করেন তিনি। মহিষাদলের কাকুড়দা থেকে গড়কমলপুর পর্যন্ত হেঁটে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন বিজেপি প্রার্থী। দুপুরে নন্দকুমারের জালপাই-১ পঞ্চায়েতের ঘোড়াইসুড়া এলাকায় কর্মিসভার পরে সমর্থকদের সামনেই মাটিতে খেতে বসেন সিদ্ধার্থ।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিকেলে হলদিয়ার ভবানীপুরের চকলালপুর থেকে সাহু বাজার পর্যন্ত পদযাত্রা করেন সিদ্ধার্থ। তিনি বলেন, ‘‘নববর্ষে ভোট প্রচারের সময় সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি, তাঁদের সমর্থন চেয়েছি। মানুষও আমাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নববর্ষে এটাই তো বাড়তি পাওনা।’’ এ দিন সকালে লোকাল ট্রেনে চেপে ভোট প্রচার করেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী ইব্রাহিম আলি। তিনি হলদিয়া থেকে পাঁশকুড়া পর্যন্ত লোকাল ট্রেনের বিভিন্ন কামরায় উঠে ভোট প্রচার করেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে এ দিন প্রচার সারেন কাঁথি কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী পরিতোষ পট্টনায়ক। তিনি রামনগর-১ ব্লকের লঙ্কেশ্বর, মীরগোদা-সহ একাধিক বাজার এলাকায় প্রচার করেন। তিনি বলেন, ‘‘পুরনো বছর শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাবতীয় অন্যায়, অত্যাচার, স্বৈরাচার শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ থেকে যে নতুন দিন শুরু, সেই বার্তা পৌঁছে দিতেই এদিন ভোটের প্রচারে ছিলাম।’’
সকলে প্রচারে ব্যস্ত থাকলেও এ দিন ঘরে পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটালেন জেলার আর এক হেভিওয়েট প্রার্থী শিশির অধিকারী। কাঁথি লোকসভার ওই তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘‘সারা দিন বাড়িতে ছিলাম। গোটা বছরই তো সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকি। তাই এ দিন নাতনি-সহ বাড়ির সকলের সঙ্গে একটু আলাদা ভাবে কাটালাম।’’ ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকেও এ দিন প্রচারে দেখা যায়নি। জেলা বিজেপি সূত্রের খবর, এ দিন হেঁড়িয়ায় দলীয় কর্মিসভায় যাওয়ার কথা ছিল প্রার্থী দেবাশিস সামন্তের। তবে তিনি এদিন সকালেই কলকাতা চলে গিয়েছিলেন। ফলে ওই সভায় দেখা যায়নি তাঁকে।