অস্ত্র শানিয়ে শোভাযাত্রা, চাপানউতোর

শুক্রবার রাতে তমলুক শহরের শালগেছিয়ায় একটি ক্লাবের উদ্যোগে শোভাযাত্রা বেরোয়। প্রকাশ্যেই খোলা তরোয়াল, দা, লাঠি উঁচিয়ে এগোতে থাকে শোভাযাত্রা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:৪৩
Share:

সশস্ত্র মিছিল। শুক্রবার রাতে তমলুকে। নিজস্ব চিত্র

রামনবমীর পরে এ বার হনুমান পুজোর শোভাযাত্রায় অস্ত্র প্রদর্শনের অভিযোগ উঠল। ভোট মরসুমে এমন ঘটনায় জুড়ে গেল রাজনীতির চাপানউতোরও।

Advertisement

শুক্রবার রাতে তমলুক শহরের শালগেছিয়ায় একটি ক্লাবের উদ্যোগে ওই শোভাযাত্রা বেরোয়। প্রকাশ্যেই খোলা তরোয়াল, দা, লাঠি উঁচিয়ে এগোতে থাকে শোভাযাত্রা। সঙ্গে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। ঘটনা জানতে পেরে রাতেই নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ। পরে শোভযাত্রায় অস্ত্র প্রদর্শনের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কোনও মামলা দেওয়া হয়নি। দু’জনই জামিনই পেয়ে গিয়েছেন।

এই ক্লাবের সম্পাদক-সহ সদস্যরা তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হিসেবেই পরিচিত। ক্লাব সম্পাদক গোপাল সামন্তের দাবি, ‘‘আমাদের ক্লাবের উদ্যোগে বজরংবলীর পুজোর শোভাযাত্রায় যে সব অস্ত্র ছিল তা প্লাইউডের তৈরি। প্রতীকী হিসেবে এগুলি ব্যবহার করা হয়েছে।’’ তাহলে অস্ত্র প্রদর্শনের জন্য দু’জন গ্রেফতার হল কেন? এ বার গোপালের দাবি, ‘‘শোভযাত্রায় কয়েকজন যুবক অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিল বলে জেনেছি। তবে ওরা আমাদের ক্লাবের সঙ্গে জড়িত নয়। ওরা আরএসএসের-সঙ্গে যুক্ত। ক্লাব সদস্যদের বন্ধু হিসেবে এসেছিল।’’ এ ক্ষেত্রে চক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ। ওই ক্লাবের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর স্নিগ্ধা মিশ্রও বলেন, ‘‘শোভযাত্রায় শামিল হওয়া কয়েকজন যুবকের হাতে অস্ত্র ছিল বলে জানতে পেরেছি। তবে ওরা আমার ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা নয়।’’ আর বিজেপির লিগ্যাল সেলের জেলা সভাপতি তথা মেচেদার রামনবমী উৎসব সমিতির সহ-সভাপতি নারায়ণ পালইয়ের বক্তব্য, ‘‘আমরা রামনবমী পালন করেছি। কিন্তু হনুমানজয়ন্তীতে কোনও উৎসব করিনি। ওই ক্লাবের শোভাযাত্রাতেও আমাদের কেউ ছিল না।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তমলুক শহরের বড়বাজারের কিছুটা দূরেই রয়েছে শালগেছিয়ার ওই ক্লাব রয়েছে। সারা বছর খেলাধুলোর চর্চার পাশাপাশি গত চারবছর ধরে ক্লাবের উদ্যোগে বজরংবলী-হনুমান জিউয়ের পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। ক্লাবের কাছেই হনুমান মন্দিরে এই পুজোর আয়োজন করা হয়। এ বারের পুজো শুরু হয় শুক্রবার সকাল থেকে। সন্ধ্যায় ক্লাবের সদস্য, স্থানীয় বাসিন্দা মিলিয়ে কয়েকশো মানুষের শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমায় বেরোয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ওই শোভাযাত্রা শহরের বড়বাজার, বর্গভীমা মন্দির, পুরসভার অফিস ও মালিজঙ্গলপল্লি হয় ফের ক্লাবের কাছে ফিরে আসে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। শহরের রাস্তায় অস্ত্র হাতে শোভযাত্রা অনেকেরই নজরে পড়ে। পরে তমলুক থানায় খবর যাওয়ায় পুলিশ তৎপর হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই শোভাযাত্রার জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও আগাম অনুমতিও নেওয়া হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement