প্রতীকী চিত্র
লকডাউন চলাকালীন মদের আসরে যেতে চেয়েছিলেন স্বামী। তাতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীর কপালে জোটে মারধর। অভিযোগ, সেই ঘটনার পরেই দু’বছরের শিশু পুত্রকে মেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মহিলা। নন্দীগ্রাম থানার আমদাবাদের বাড়িমাল গ্ৰামে এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে খেজুরির জাহানাবাদ গ্রামের অর্চনা পাখিরার সঙ্গে বিয়ে হয় আমদাবাদের নন্দদুলাল পাখিরা। নন্দদুলাল নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। অভিযোগ, কাজের শেষে প্রতিদিনই মদ্যপান করে তিনি বাড়ি ফিরতেন। সে নিয়ে অশান্তি হত। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন শুরু হওয়ায় স্বামীকে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছিলেন অর্চনা। এ নিয়ে গত তিনদিন ধরে বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হচ্ছিল বলে পরিবার সূত্রের খবর। অভিযোগ, মদ্যপানে বাধা দেওয়া বৃহস্পতিবার নন্দদুলাল অর্চনাকে মারধর করে বেরিয়ে যান।
শুক্রবার সকালে নন্দদুলাল বাড়ির ফিরে বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও আর্চনার সাড়া পাননি। তিনি জানলা দিয়ে দেখেন স্ত্রীয়ের দেহ অর্চনার দেহ ফ্যান থেকে ঝুলছে। পরে পরিবারের লোকেরা নন্দীগ্রাম থানায় খবর দিলে পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। ঘরে ওই দম্পতির দু’বছরের ছেলের দেহও পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। শিশুর গলায় আঙুলের ছাপ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তাকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। দেহ ময়না তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।