রাস্তা সংস্কারের দাবিতে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
শুক্রবার বিকেলে ভাঙাচোরা রাস্তা পারাপার করার সময় নয়ানজুলিতে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক প্রৌঢ়ের। ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকালে ঘাটাল থানার কিসমত গ্রামে দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। এলাকায় যান ঘাটালের বিডিও সঞ্জীব দাসও। প্রশাসনের তরফে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাসের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘাটাল থানার কিসমত গ্রামের আনন্দ খাঁ (৫৬) মনসুকায় কাজ সেরে সাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর বাড়ি কিসমত গ্রামেই। রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। মনসুকায় কাজের পারিশ্রমিক নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পালপুকুর মনসুকা রাস্তায় কিসমত গ্রামেই ভগ্নপ্রায় কালভার্টের উপর একটি ইঞ্জিন ট্রলিকে পাশ দিতে গিয়ে রাস্তার ধারের নয়ানজুলিতে পড়ে যান ওই সাইকেল আরোহী। ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘ প্রায় দু’-আড়াই বছর ধরে পালপুকুর মনসুকা গ্রামীণ রাস্তাটির হাল খারাপ। বছর দু’য়েক আগে বন্যার জলে রাস্তাটি ভেঙে গিয়েছিল। তারপর থেকে ওই রাস্তাটি আর সংস্কার হয়নি। অথচ মনসুকা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই গ্রামীণ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করেন। গত দু’বছরে ঘাটাল মহকুমা ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা একাধিক বার রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেছেন। রাস্তার অবস্থার কথা জানানো হয়েছিল জেলা প্রশাসনেও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার হয়নি। কালভার্টের অবস্থাও তথৈবচ। এমন রাস্তার উপর দিয়েই ছুটছে বাইক, চারচাকাও।
মনসুকা ২ গ্রাম-পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গৌতম সরকার মানছেন, “বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে গিয়েছিল। পঞ্চায়েত থেকে সাময়িক সংস্কারও করা হয়েছিল। কিন্তু ভাল করে সংস্কার জরুরি।” শুক্রবারের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শনিবার সকালে উত্তেজিত বাসিন্দারা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে সরব হন। জড়ো হন পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দারাও। খবর পেয়ে এলাকায় যান বিডিও সঞ্জীব দাস। পৌঁছন ঘাটাল থানার ওসি দেবাংশু ভৌমিকও। বিডিও সঞ্জীব দাস বলেন, “রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হবে। যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”