ছবি: সংগৃহীত
রাজ্য বাজেটে আদিবাসীদের জন্য রাজ্যের নিজস্ব বার্ধক্য পেনশন প্রকল্প ‘জয় জহার’ চালুর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ষাট বছরের বেশি বয়সী আদিবাসী ও তফসিলি জনজাতি গোষ্ঠীর সকলে, যাঁরা অন্য কোনও পেনশন পান না তাঁদের এই প্রকল্পে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হবে। এ জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। উপকৃত হবেন আনুমানিক ৪ লক্ষ মানুষ।
বামেদের দাবি, তাদের সরকারের আমলে এই প্রকল্প ছিল। এখন শুধু নাম বদল হচ্ছে। সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক পুলিনবিহারী বাস্কে বলছেন, ‘‘আমাদের আমলে আদিবাসী পেনশন চালু ছিল। প্রথমে ৭৫০ টাকা, পরে আমাদের সময়ই তা বেড়ে হয় এক হাজার টাকা। সেই প্রকল্পেরই নাম বদলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’’
আদিবাসী মহলেও এই প্রকল্প নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আদিবাসী সংগঠন ‘ভারত জাকাত সারনা ধরম চেমেৎ আসড়া’-র ঝাড়গ্রাম জেলা শাখার অন্যতম সহ-সম্পাদক খগেন্দ্রনাথ সরেন বলেন, ‘‘জহার কথার অর্থ নমস্কার। তার আগে ‘জয়’ কথাটি যুক্ত করার প্রয়োজন নেই। প্রকল্পের সঙ্গে নামের সাদৃশ্য পেলাম না। প্রকল্পটি সাধুবাদযোগ্য হলেও জয় জহারের পরিবর্তে জহার ব্যবহার করা উচিত।’’ ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের ঝাড়গ্রাম তল্লাটের নেতা শিবশঙ্কর সরেনের কথায়, ‘‘এটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে রাজনীতির ঘেরাটোপে প্রকল্পটির সুযোগ কতজন উপভোক্তা পাবেন সেটাই প্রশ্ন।’’
ঝাড়গ্রামে বীরসা মুন্ডার নামে যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঘোষণা বাজেটে রয়েছে, বিভ্রান্তি তা নিয়েও। ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে জিতুশোলে ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৭ সালে ঝাড়গ্রাম জেলার আত্মপ্রকাশের দিনই মুখ্যমন্ত্রী ওই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঘোষণা করেন। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বীরসা মুন্ডার নামে হবে, না ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরই নাম বদলাবে, তার জবাব মেলেনি। জেলা শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এক জেলায় তো আর দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না। তবে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। যদিও দু’দিন আগে শিক্ষামন্ত্রী জেলায় এসে এবিষয়ে কিছুই বলেননি।’’