প্রতীকী ছবি।
শারদোৎসবের আগে তমলুকে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে হল বস্ত্র বিতরণ। কর্মসূচির সূচনা করেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। অরাজনৈতিক হলেও রবিবারের কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন তমলুক শহর তৃণমূলের বহু নেতাই।
বেশ কয়েক মাস ধরে তৃণমূলের ‘ছোঁয়াচ এড়িয়ে’ চলছেন শুভেন্দু। কোথাও ‘দাদার অনুগামী’রা, কোথাও আবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে শুভেন্দুর সামাজিক কর্মসূচি হচ্ছে। এ দিন তমলুকের সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে তাঁর উদ্যোগে বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি রূপায়ণের দায়িত্বে ছিল তমলুক পুরসভা। পুর এলাকার দু‘শো জনের হাতে নতুন পোশাক দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে তমলুক পুর এলাকায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে বস্ত্র বিতরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
অরাজনৈতিক এই কর্মসূচিতে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি, সব কো-অর্ডিনেটর, শহর তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাই উপস্থিত ছিলেন। শুভেন্দুর প্রতি আস্থা জানাতেই তাঁদের হাজিরা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জেলা আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি দিব্যেন্দু রায় বলেন, ‘‘শুভেন্দুবাবু প্রতি বছর পুজোর আগে বস্ত্র বিতরণ করেন। কর্মসূচি রূপায়ণ করতে উনি তমলুক পুরসভাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমরা সকলেই সহযোগিতায় ছিলাম। ’’ তমলুক পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেনের বক্তব্য, ‘‘এ দিন দু’শো জনকে জামাকাপড় দেওয়া হয়েছে। শহরের ২০টি ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার জনকে নতুন বস্ত্র দেওয়া হবে। মন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এই কর্মসূচি করলাম। দলের অনেক নেতাই উপস্থিত ছিলেন।’’