শেষ-লগ্নে: রিতা জানা মণ্ডলের হয়ে প্রচারে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক । ছবি: দেবরাজ ঘোষ
প্রতীক চিনে সকাল-সকাল নিজের ভোট নিজে দিন। সবং বিধানসভা উপ-নির্বাচনে প্রচারের শেষ দিনে এই আবেদন জানালেন যুযুধান চার প্রার্থীই। তবে শেষ দিন হলেও মঙ্গলবার প্রচারের সেই ঝাঁঝ ছিল না। দু’-একটি বড় সভা-পদযাত্রা ছাড়া বাড়ি-বাড়ি ঘুরে শেষবেলার প্রচার সারলেন প্রার্থীরা।
সবং বিধানসভা উপ-নির্বাচনের প্রচারে সিপিএম ছাড়া সব দলই এত দিন শীর্ষ নেতৃত্বকে এনে প্রচার চালিয়েছে। তবে শেষ দিনে প্রত্যেক প্রার্থীই এলাকায় ঘুরে দিনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন। এ দিন সকালে প্রথম বড় সভার আয়োজন করেছিল সিপিএম। সবং হাইস্কুল ময়দানে ওই সভার মুখ্য বক্তা ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। ছিলেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক প্রবোধ পাণ্ডা, সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায়, প্রার্থী রিতা জানা মণ্ডল।
বিকেলে তৃণমূলের শেষ প্রচারে হাজির মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় প্রার্থী গীতারানি ভুঁইয়ার সমর্থনে হয় পদযাত্রা। বেনেদিঘি থেকে তেমাথানি পর্যন্ত পদযাত্রার পরে পথসভাও হয়। তার আগে সকালে তৃণমূল প্রার্থী ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরেছেন।
তৃণমূল প্রার্থী গীতারানি ভুঁইয়ার পদযাত্রায় শুভেন্দু অধিকারী, সৌমেন মহাপাত্র ও নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় । ছবি: দেবরাজ ঘোষ
এ দিন সকালে পিংলার নয়া থেকে বরিষা পর্যন্ত দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে র্যালিতে দেখা গিয়েছে বিজেপি প্রার্থী অন্তরা ভট্টাচার্যকে। তিনি আবার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সকাল -সকাল ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। একই ভাবে সারাদিন সবংয়ের বুড়ালে বাড়ি-বাড়ি প্রচার করে বিকেলে দণ্ডরা গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী চিরঞ্জীব ভৌমিক।
এ দিনের সভায় তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীকে কড়া ভাষায় বিঁধেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। সভামঞ্চে সূর্যবাবু বলেন, “এখানে কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের লড়াই হচ্ছে না। লড়াই একটিই তৃণমূল ও বিজেপিকে পরাস্ত করা। বাংলা ও দেশকে বাঁচানোর লড়াই। তৃণমূলকে এখান থেকে উৎখাত না করতে না পারলে পদ্মফুল ফোটা বন্ধ করতে পারবেন না।” তৃণমূলের প্রার্থীর স্বামী সাংসদ মানস ভুঁইয়াকেও ‘দলবদলু’ বলে বিঁধেছেন তিনি। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের কথায়, “২০১৬ সালে কংগ্রেসের বন্ধুদের লড়াইয়ের পাশে দাঁড়াতে এসেছিলাম। খুব কষ্ট হচ্ছে একথা বলতে, ২০১৬ সালে যাঁকে ভোট দিতে আবেদন করেছিলাম, তিনি জয়ী হয়ে সবংয়ের মানুষের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।”
শুভেন্দুর যদিও বক্তব্য, “গত নির্বাচনে মানস ভুঁইয়ার ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানের রেকর্ড ভেঙে আমাদের প্রার্থী গীতা ভুঁইয়া ৮০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবেন।” শুভেন্দুর দাবি, সিপিএম দ্বিতীয় আর বিজেপি তৃতীয়স্থানে থাকবে।