প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ঘেরাটোপে তমলুক সংশোধনাগারে গিয়ে স্বামীর ‘খুনি’দের চিহ্নিত করলেন ময়নার নিহত বিজেপি নেতার স্ত্রী লক্ষ্মী ভুঁইয়া। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ পুলিশ আধিকারিকদের সামনে স্বামীর ৩ খুনিকে চিহ্নিত করেছেন তিনি। সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে লক্ষ্মী বলেন, “আমার চোখের সামনে থেকে স্বামী বিজয় ভুঁইয়াকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে নৃশংস ভাবে যারা খুন করেছিল, তাদের মধ্যে ৩ খুনিকে চিনিয়ে দিয়েছি। পুলিশ অফিসারদের কথা মতো আমি ওই খুনিদের কাঁধে হাত রেখে দেখিয়ে দিয়েছি।”
বিজয়কৃষ্ণের পরিবারের অভিযোগ, গত সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ তাঁকে স্ত্রী এবং ছেলের সামনে থেকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় এক দল দুষ্কৃতী। আরও অভিযোগ, বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মী এবং ছেলে সুরজিৎ। পরে বিজয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির কাছে পুকুরপাড় থেকে। সেই ঘটনা তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত দফায় দফায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এসডিপিও সাকিব আহমেদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে তমলুকের সংশোধনাগারে যান লক্ষ্মী ও তাঁর ছেলে। তবে টিআই প্যারেডের সময় শুধু লক্ষ্মীকেই সংশধনাগারের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। বেলা প্রায় সাড়ে ৩টে নাগাদ সময় লক্ষ্মীকে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এর বেশ কিছু সময় পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের তিনি বলেন, “আমার সামনে অনেকগুলো লোককে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে স্বামীর খুনিদের কাঁধে হাত দিয়ে চিনিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। আমি ওই লোকগুলোর মধ্যে থেকে ৩ জন খুনিকে চিনিয়ে দিয়েছি।”