স্টেশনে পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র
ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে কেন্দ্র- রাজ্য সংঘাতের মধ্যেই এ বার বদলাল শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের সময়সূচি।
আজ, মঙ্গলবার নয়, কাল, বুধবার খড়্গপুরে আসছে পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই ট্রেন। আজ, মঙ্গলবার ভেলোর থেকে ওই ট্রেনটি বেলা ২টো নাগাদ ছাড়বে বলে জানা গিয়েছে। যদিও দিন কয়েক আগে প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছিল, আজ, মঙ্গলবারই খড়্গপুরে এসে পৌঁছবে ওই ট্রেন। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, সব কিছু ঠিক থাকলে কাল, বুধবার দুপুর ৩টে নাগাদ ওই ট্রেন খড়্গপুরে এসে পৌঁছবে। জটিলতা অবশ্য এতে কাটছে না। প্রাথমিকভাবে খড়্গপুর স্টেশনে ওই ট্রেন আসার কথা ছিল। সেই মতো রবিবার রাতেই খড়্গপুর রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন মহকুমাশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রেল পুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। তবে সোমবার নতুন করে ঠিক হয়েছে, হিজলি স্টেশনে দাঁড়াবে ওই ট্রেন। সেখানেই নামবেন ভিন্ রাজ্য ফেরত শ্রমিকেরা। মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “ভেলোর থেকে আসা ট্রেনের সময়সূচি বদল হয়েছে। মঙ্গলবারের বদলে বুধবার ওই ট্রেন আসছে বলে আপাতত ঠিক রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা খড়্গপুর স্টেশনে এই নিয়ে পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু হিজলি স্টেশন ফাঁকা হওয়ায় রেল কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মেনে ওখানেই ট্রেন দাঁড়াবে বলে ঠিক হয়েছে। আমরা সেই মতো পরিকল্পনা শুরু করেছি।”
প্রশাসন সূত্রে খবর, ভেলোর থেকে ট্রেনে ফিরবেন রাজ্যের ১২০৭জন শ্রমিক। এঁদের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৪৪জন। এ ছাড়াও হুগলির ২১৫জন, কলকাতার ১৩৯জন, পূর্ব মেদিনীপুরের ৩৬৩জন ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ২৪৬জন শ্রমিক রয়েছেন। সকলেই হিজলি স্টেশনে নামবেন। পরে বাসে তাঁদের গন্তব্যে পাঠাবে প্রশাসন। এক লপ্তে এত শ্রমিকের ভিড় সামলানোর পরিকল্পনাও করছে প্রশাসন। এ দিনই হিজলি স্টেশন পরিদর্শন করে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। কোন পথ ধরে শ্রমিকদের বের করা হবে, কী ভাবে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বাসে পাঠানো হবে— সব পরিকল্পনাই হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, হিজলি স্টেশনের বাইরে ৮টি টেবিল থাকবে। একে-একে শ্রমিকেরা স্টেশন থেকে বেরিয়ে টেবিলে যাবেন। প্রথম দিকের কয়েকটি টেবিলে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর-সহ বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হবে। তার পরে একটি ফর্ম দিয়ে অন্য টেবিলে পাঠানো হবে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে সুস্থ বলে শংসাপত্র দেওয়া হবে। এর জন্য মোতায়েন করা হবে বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মী। রেল পুলিশের (জিআরপি) সুপার অবদেশ পাঠক বলেন, “খড়্গপুর নয়, হিজলিতে ওই ট্রেন দাঁড়াবে। আমরা পরিকল্পনা করছি। সুষ্ঠুভাবে যাতে সব শ্রমিককে বাড়িতে ফেরানো যায়।”