খড়্গপুরে দিলীপ ঘোষের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ কুড়মিদের। নিজস্ব চিত্র।
ক্ষমা না চাইলে দিলীপ ঘোষের বাড়ি ঘেরাও করা হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো বুধবার মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদের বাড়ির জমায়েত করলেন কুড়মিরা। অভিযোগ, খড়্গপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপের বাংলোর মূল ফটক ভেঙে ভিতরে ঢুকে যান বিক্ষোভকারীরা। সাংসদ অবশ্য এখন দিল্লিতে রয়েছেন। দিলীপ বলেন, ‘‘আমি দিল্লিতে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসেছি। সাংসদের বাড়ির গেট ভাঙা হয়েছে, এটা তো রাজ্য প্রশাসনের দেখার কথা।’’
রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় থানার বামাল গ্রামে দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় কুড়মিদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কুড়মিদের জন্য কী করেছেন? পাল্টা দিলীপও দাবি করেন, খেমাশুলিতে আন্দোলনের তিনি কুড়মি নেতাদের নানা ভাবে সাহায্য করেছিলেন। দিলীপের এই মন্তব্যেরও বিরোধিতা করে কুড়মি সমাজ। তার প্রেক্ষিতে সোমবার দিলীপ বলেন, ‘‘ওরা বেশি বাড়াবাড়ি করলে সব ক’টা নেতার কাপড় খুলে দেব। দিলীপ ঘোষের পিছনে যেন লাগতে না আসে।’’ এতেই কুড়মিদের ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। রানিবাঁধে দিলীপের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। কুড়মিরা হুঁশিয়ারি দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চেয়ে দিলীপ যদি নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার না করেন, তা হলে আগামী ১৭ মে, অর্থাৎ বুধবার ৫০ হাজার কুড়মিকে নিয়ে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করা হবে। সেই মতো বুধবার দিলীপের বাড়ির সামনে জমায়েত করেন কুড়মিরা।
অভিযোগ, দিলীপের বাংলোর বাইরের লোহার গেটটি লাথি মেরে খুলে ভিতরে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। সেই সময় বাংলোর ভিতরে বিজেপি কর্মীরা বসেছিলেন। ছিলেন পুলিশকর্মীরাও। সেখানে গিয়ে জামা খুলে প্রতিবাদ দেখান কুড়মিরা। সংগঠনের রাজ্য নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘আমাদের সমাজ রাজনীতি করে না। নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই চালাচ্ছি। দিলীপ ঘোষ আমাদের যে ভাষায় অপমান করেছেন, তাতে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকব না। নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে দিলীপ ঘোষকে।’’
পাল্টা দিলীপও দিল্লি থেকে আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘এ সব ঘেরাওকে ভয় পাই না। সোজা কথা সোজা ভাবে বলেছি। সত্যিটা কেউ হজম করতে পারে না। কাল থাকব। কে আসবে আসুক।’’