সভায় মঞ্চে কুণাল ঘোষ ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
শুক্রবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘‘একজন নেতা আমাকে বলে গিয়েছেন ‘টাইম হো গিয়া’।’’ দু:দিনের সফর শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লি ফিরে যাওয়ার পর ফের তারিখের রাজনীতি নিয়ে শুভেন্দু-তৃণমূল বাকযুদ্ধ শুরু।
রবিবার বিরোধী দলনেতার মুখে ‘টাইম হো গিয়া’ স্লোগানকে একযোগে আক্রমণ করেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুজনে কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের পেটুয়াঘাটে তৃণমূলের একটি কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ‘গদ্দার মুক্ত দিবস’ পালিত হল এদিন। সেই সভায় শুভেন্দুকে আক্রমণ করে কুণাল বলেন, ‘‘উনি শুধু প্রথম লাইনটা বলেছেন। শেষে ওই বিজেপি নেতা বলে গিয়েছেন ‘শুভেন্দু কো জেল মে ভেজনা হ্যায়। নেহি তো উস্কো বিজেপি সে নিকালনা হ্যায়’।
কুণালের পাশাপাশি শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বলেন, ‘‘১২, ১৪, ২১ তারিখের কথা বলছেন শুভেন্দু। বিজেপি শুভেন্দুর মতো একজন জ্যোতিষী পেয়েছে। এখন আবার শুভেন্দু বলছেন তাঁকে নাকি দিল্লির নেতারা বলে গিয়েছেন ‘টাইম হো গিয়া’। আমি বলছি টাইম তো শুভেন্দু আর বিজেপির হয়ে গিয়েছে। মে মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুভেন্দু আর বিজেপি পঞ্চায়েত ভোটের পর পশ্চিমবঙ্গ থেকে মুছে যাবে।’’
কুণাল ঘোষ এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে যেখানে মানুষ ভোট দিতে পারবেন সেখানে তৃণমূল হেরে যাবে। ওরা বরঞ্চ নিজেদের পরিণাম কী হবে সেটা নিয়ে ভাবুন। বিজেপিকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই।’’
সভায় মন্ত্রী অখিল গিরি, জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।