প্রতীকী ছবি।
চার দিন আগে খড়্গপুর শহরে গুলি করে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল সমর্থক তথা স্থানীয় ব্যবসায়ী ভেঙ্কট ওরফে প্রসাদ রাওকে। ওই ঘটনায় শুক্রবার তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবারই হাজির করানো হয় খড়্গপুর মহকুমা আদালতে। আদালত দু’জনের সাত দিনের পুলিশ হেফাজত এবং এক জনকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
সোমবার রাতে খড়্গপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মাতা মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভেঙ্কট। রাত ১০টা নাগাদ স্কুটিতে চেপে দু’-তিন জন এসে তাঁকে লক্ষ্য করে আচমকাই গুলি ছুড়তে শুরু করে। সবারই মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে পথেই লুটিয়ে পড়েন ভেঙ্কট। রক্তে ভেসে যায় চারপাশ। গুলি চলার আওয়াজ পেয়ে আশপাশের লোকজন বেরিয়ে এলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ভেঙ্কটকে উদ্ধার করে খড়্গপুর রেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এর পরেই তদন্তে নামে খড়্গপুরের পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। আটক করা হয় ৮ জনকে। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার পুলিশ জানায়, খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা সকলেই খড়্গপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
ঘটনায় ইতিমধ্যেই লেগেছে রাজনীতির রং। শুক্রবারই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ পুলিশের উপর অনাস্থা দেখিয়ে বলেন, ‘‘কেউ গ্রেফতার হবে না। প্রতি ছ’মাসে এক বার করে শ্যুটআউট হচ্ছে। এর মধ্যে সরকার, প্রশাসন, পুলিশ— সকলে যুক্ত।’’
যদিও দিলীপের দাবি উড়িয়ে খড়্গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার বলেন, ‘‘গত ৬ বছর ধরে ওঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই। কোনও পুরনো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা কি না তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভেঙ্কট। তবে কি সেই কারণেই খুন? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।