West Bengal Municipal Election 2020

ভোটের আগেই বৈদ্যুতিক চুল্লি!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২০ ০০:৪৮
Share:

খড়্গপুর পুরসভা। ফাইল চিত্র।

বিধানসভা উপ-নির্বাচনের পরে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা ছিল। শহরে মুখ্যমন্ত্রী এলেও চালু হয়নি শশ্মানের বৈদ্যুতিক চুল্লি। এ বার পুর-নির্বাচনের মুখে ফের বৈদ্যুতিক চুল্লির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে উদ্যোগী হল পুরসভা!

Advertisement

বুধবারই খড়্গপুরের মন্দিরতলা শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি পরিদর্শনে যান শহরের বিধায়ক তথা পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। সঙ্গে ছিলেন পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অম্বিকা পাত্র। গত মাস তিনেক ধরেই নবনির্মিত এই বৈদ্যুতিক চুল্লির উদ্বোধন ঘিরে টানাপড়েন চলছে। পূর্ত দফতরের তৈরি এই চুল্লি পুরসভাকে হস্তান্তর করার কথা। গত সেপ্টেম্বরে বীরসিংহ থেকে খাতায়-কলমে এই চুল্লির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা উপ-নির্বাচনের পরে শহরবাসীকে গত ৯ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছিলেন। পুরসভার দাবি ছিল, সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে ওই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। তবে হয়নি। তৃণমূল পরিচালিত খড়্গপুর পুরসভার দাবি, কয়েকটি কাজ এখনও অবশিষ্ট থেকে যাওয়ায় ওই চুল্লির চালু করা যাচ্ছে না। তাই দ্রুত অবশিষ্ট কাজ শেষ করে উদ্বোধন করতে এ দিন পূর্ত চুল্লি এলাকা ঘুরে দেখেন পুর-কর্তৃপক্ষ। পুরপ্রধান প্রদীপ বলেন, “ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে তো উদ্বোধন করা যাবে না। ১২ মার্চ উদ্বোধনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ওই চুল্লি পরিদর্শনে গিয়ে দেখলাম পূর্ত দফতর এখনও অনেকগুলি কাজ করেনি। জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে জানাচ্ছি পূর্ত দফতর কাজ শেষ করলে আমরা নির্বাচনের আগেই উদ্বোধন করব।”

১৯৮৪ সালে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি গড়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। ২০১৬ সাল নাগাদ ওই চুল্লির বিষয়টি জেলাশাসককে জানিয়েছিলেন পুরপ্রধান। ২০১৭ সালে চুল্লির অনুমোদন হয়। প্রায় ১ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পূর্ত দফতর ওই চুল্লি তৈরি শুরু করে। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চুল্লির ভিতরে ট্রান্সফর্মারও বসেছে। কর্মী নিয়োগ ও যন্ত্রাংশ রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব সামলাবে পুরসভা।

Advertisement

এ দিনের পরিদর্শনের পরে পুরসভার দাবি, এখনও শবদেহ ঢোকার মুখে আগাছা রয়েছে। চুল্লিতে দেওয়ার জন্য বসানো হয়নি ট্রে। পাঁচিল হয়নি। পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অম্বিকা পাত্র বলেন, “বিদ্যুতের সামান্য কাজ বাকি। পাঁচিল গড়তে সময় লাগবে। শীঘ্রই আগাছা পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement