খরিদা দুর্গাবাড়িতে কল্পতরু উৎসব। নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলারতি, চণ্ডীপাঠ, উপাসনা, গীতি আলেখ্য— নানা আয়োজন ছিল শ্রীরামকৃষ্ণের কল্পতরু উৎসবে। রবিবার নতুন বছরের সূচনায় খড়্গপুরের খরিদা দুর্গাবাড়িতে ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি কল্পতরু হয়েছিলেন শ্রী রামকৃষ্ণ। সেই থেকেই এই দিনটিতে কল্পতরু উৎসব পালন করেন তাঁর ভক্তরা। রামকৃষ্ণ মিশন ও বেলুড় মঠের শাখা সঙ্ঘ সারদা সমিতির খড়্গপুর খরিদা শাখায় ২০০২ সাল থেকে এই উৎসব হচ্ছে। এ দিন ভোরে মঙ্গলারতি দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। এরপর ছিল রামকৃষ্ণের উপাসনা, চণ্ডীপাঠ, ভক্তিগীতি। উপস্থিত ছিলেন কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী ভবনাথানন্দ, মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী মায়াভিসানন্দ। বিকেল সওয়া তিনটে পর্যন্ত উপাসনা চলে। সন্ধ্যায় মানসরঞ্জন রায়ের পরিচালনায় ‘এসেছো জ্যোতির্ময়’ শীর্ষক গীতি আলেখ্য পরিবেশন করেন সারদা সমিতির সদস্যারা।
ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে কাঁথি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে রবিবার কল্পতরু উৎসব উদযাপন করা হয়। কাশীপুর উদ্যানবাটিতে ১৮৬৬ সালের ১ জানুয়ারি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব কল্পতরু হয়ে ভক্তদের মনোবাসনা পূর্ণ করেছিলেন। সেই দিনটিকে স্মরণ করেই রবিবার কাঁথি রামকৃষ্ণ মঠে কল্পতরু উৎসব হয়। ভোরে আশ্রমে মঙ্গলারতি, বৈদিক মন্ত্র ও গীতাপাঠ ছাড়াও শ্রীশ্রী ঠাকুরের বিশেষ পুজো হয়। জপ ও ধ্যান ছাড়াও কল্পতরু প্রসঙ্গে পাঠ ও আলোচনা করেন মঠের অধ্যক্ষ স্বামী প্রার্থনানন্দ। কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে সারাদিন ধরে কাঁথি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে প্রচুর ভক্ত হাজির হন ও ঠাকুরের প্রসাদ গ্রহণ করেন।