পাহাড়ে অশান্তির আগুনের আঁচ লেগেছে পর্যটন ব্যবসায়। ছুটির মরসুমে প্রিয় দার্জিলিংকে অনেকেই আর বেড়ানোর তালিকায় রাখছেন না। উল্টে তাঁদের পছন্দ, জঙ্গলমহল। এমনকী বর্ষাতেও।
বিপদের আশঙ্কায় ভ্রমণপ্রিয় মানুষও জঙ্গল এড়িয়ে যান। তবে এ বার জঙ্গলমহলের পর্যটন ব্যবসা জমে উঠেছে বর্ষাতেও। অগস্টের ১২-১৩ শনি-রবি। ১৪ তারিখ জন্মাষ্টমী ও ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস। ছুটি পেলেই বেড়ানো যাঁদের নেশা, তাঁদের অনেকেই ঝাড়গ্রামে যাচ্ছেন। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ লজ, হোটেলে আগাম বুকিং হয়ে গিয়েছে। ঝাড়গ্রামে ঠাঁই-নাই দশা।
পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের ২২টি কটেজ ওই ৪ দিন ভর্তি থাকছে। রাজ্য বন উন্নয়ন নিগমের ঝাড়গ্রাম প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্রেরও এক অবস্থা। বেসরকারি হোটেলগুলিতেও বেশির ভাগ ঘর অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম লজ-হোটেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন কর্মকার বলেন, ‘‘এই সময়টা পর্যটনের মরসুম নয়। কিন্তু দার্জিলিঙে অশান্তির পরে বর্ষাতেও ঝাড়গ্রামে ভিড় হচ্ছে।”
বাগুইআটির বাসিন্দা ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার দেবদীপ চক্রবর্তী গরমের ছুটিতে দার্জিলিং যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু গোলমাল শুরু হয়ে যাওয়ায় তা বাতিল করতে হয়েছে তাঁকে। দেবদীপ বলে, “গরমে দার্জিলিং তো হল না। তাই অগস্টের চার দিনের ছুটিতে ঝাড়গ্রাম যাচ্ছি। ওখানেও তো জঙ্গল-পাহাড় আছে।” তাঁর মতোই অগস্টে অনলাইনে ঝাড়গ্রামের একটি পর্যটন সংস্থার মাধ্যমে অগ্রিম বুকিং করে জঙ্গলমহলে বেড়াতে যাচ্ছেন অনেকেই।
এ সব দেখে আশাবাদী জঙ্গলমহলের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পর্যটন সংস্থা ‘ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম’-এর কর্তা সুমিত দত্ত বলেন, “দার্জিলিঙের অশান্তির জন্য এবার জঙ্গলমহলের কপাল খুলে গিয়েছে। অগস্টের শুরু থেকেই শয়ে শয়ে পর্যটকরা আসছেন। চারটে ছুটির দিন ঝাড়গ্রাম জমজমাট হয়ে যাবে। এখন থেকেই পুজোর অগ্রিম বুকিংও পাচ্ছি।”