পিছোল জঙ্গলমহল উৎসব

পর্যটনের ভরা মরসুমে প্রতি বছর শীতের সময়ে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতর আয়োজিত জঙ্গলমহল উৎসব হয় ঝাড়গ্রামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২০ ০০:৩৮
Share:

ফাইল চিত্র।

মাঠ সমস্যার জন্য পিছিয়ে গেল জঙ্গলমহল উৎসব। তবে নতুন বছরের শুরুর দিনেই বুধবার ঝাড়গ্রাম শহরে শুরু হচ্ছে ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যাকাডেমির পরিচালনায় ৩১ তম বর্ষের রঙ-মাটি-মানুষ উৎসব।

Advertisement

পর্যটনের ভরা মরসুমে প্রতি বছর শীতের সময়ে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতর আয়োজিত জঙ্গলমহল উৎসব হয় ঝাড়গ্রামে। ২০২০ সালের জঙ্গলমহল উৎসব হওয়ার কথা ছিল ২ থেকে ৯ জানুয়ারি। গত ১৩ নভেম্বর ঝাড়গ্রামে বৈঠক করার পরে এবারও ঝাড়গ্রাম শহরের কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনের মাঠে উৎসব বলে বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের ৩৩ লক্ষ টাকায় গত বছরই ওই স্কুলের মাঠের সংস্কার হয়। ফলে স্কুল মাঠে উৎসবের বিরোধিতায় প্রতিবাদে সরব হন প্রাক্তনীরা। এর পরেই উৎসবের স্থান পরিবর্তেনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ঝাড়গ্রামের কোথায় উৎসব হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। প্রশাসন সূত্রের খবর, এবার অরণ্যশহরের ননীবালা বয়েজ স্কুলের মাঠ উৎসবের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘‘পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে মকর পরব হল জঙ্গলমহলের মূলবাসীদের বড় উৎসব। সেই কারণে মকর পরবের পরে জঙ্গলমহল উৎসবের দিন ঠিক করা হবে। এখনও দিন ঠিক হয়নি। তবে উৎসব হবে আটদিন ধরে।’’ জঙ্গলমহল উৎসব পিছিয়ে গেলেও ঝাড়গ্রামে আসা পর্যটকদের অবশ্য হতাশ হবেন না বলেই দাবি করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কারণ, আজ বুধবার ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যাকাডেমি চত্বরে শুরু হচ্ছে ৩১ তম বর্ষের ‘রঙ-মাটি-মানুষ’ উৎসব। চলবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর্ট অ্যাকাডেমির বার্ষিক চিত্র ও কারুকলা প্রদর্শনীকে ঘিরে প্রতিবছরই নজর কাড়া অনুষ্ঠান হয়। কলা ও সংস্কৃতি জগতের বহু বিশিষ্টজন এই উৎসবে প্রতি বছর আসেন। এবার উৎসবের বিষয় ‘আমার সোনার বাংলা’। ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ সঞ্জীব মিত্র বলেন, ‘‘বাংলার শিল্প-কলা-সংস্কৃতি জগতের সমস্ত ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনের অবদানকে স্মরণ করা হচ্ছে এবারের উৎসবে। প্রদর্শনীতেও বাংলার বিভিন্ন লোকায়ত শিল্পের ছোঁয়া থাকছে। এ ছাড়াও চাষি, কামার, কুমোর, তাঁতি, দর্জি, চর্মকার, কাঠমিস্ত্রির মতো ২০ জন সমাজবন্ধুকে উৎসবের বিভিন্ন দিনে সংবর্ধনাও দেওয়া হবে।’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement