ঘটনা-১: প্রকাশ্য রাস্তায় এক মহিলার টাকার ব্যাগ ছিনতাই পালিয়ে গেল দুই যুবক। জনবহুল রাস্তায় মোটর বাইক দাবড়ে পালানো দুই দুষ্কৃতীর মুখ ভাল মত দেখতেই পেলেন না পথচলতি লোকজন।
ঘটনা-২: ঝাড়গ্রাম শহরের একটি কলেজ থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেলেন এক ছাত্রী। কীভাবে সেই রহস্যের কিনারা হয়নি।
ঘটনা-৩: পুরসভার বাইরে মোটর বাইক ‘লক’ করে রেখেছিলেন এক পুর-কাউন্সিলর। কাজ সেরে এসে দেখেন বাইক লোপাট। প্রকাশ্যে ‘লক’ ভেঙে কে চুরি করল জানা গেল না।
বছরভর ঝাড়গ্রাম শহরে এরকম নানা দুষ্কর্ম ঘটে। অরণ্যশহরের কোনও রাস্তায় সিসি টিভি ক্যামেরা নেই। ফলে, এই সব ঘটনায় দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে পুলিশকে সমস্যায় পড়তে হয়। সম্প্রতি প্রকাশ্য রাস্তায় এক মহিলার টাকার ব্যাগ লুঠ হওয়ার পরে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ-প্রশাসন। অরণ্যশহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে ঝাড়গ্রাম পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রামের রাস্তায় সিসি টিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য পুর বিষয়ক দফতরের কাছে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন জানানো হবে। হুগলির উত্তরপাড়া পুরসভার উদ্যোগে সেখানকার একাধিক রাস্তায় সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সেই পথেই হাঁটতে চলেছে ঝাড়গ্রাম পুরসভা।
ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব বলেন, “আড়ে বহরে শহর বাড়ছে। দৈনন্দিন সমস্যাও বাড়ছে। নিরাপত্তা ও সার্বিক সুরক্ষার কারণে শহরের রাস্তায় সিসি ক্যামেরা বসানো দরকার। এ বিষয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব।”
পুলিশের বক্তব্য, ঝাড়গ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন শহর। সেই কারণে বাইরের লোকজনের আনাগোনা লেগেই থাকে। সীমানাবর্তী ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার লোকজনও নানা প্রয়োজনে অরণ্যশহরে আসেন। শহরের কয়েকটি মোড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন থাকে। বিশেষ ক্ষেত্রে শহরে ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তা গুলিতে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের বক্তব্য, শহরের সমস্ত রাস্তায় সিভিক বা পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব নয়। নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানো প্রয়োজন। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, “ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথা মোড়-সহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানো প্রয়োজন। এ ছাড়া শহরের প্রতিটি ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তাতেও সিসি ক্যামেরার নজরদারির জন্য বিভাগীয়স্তরে আলোচনা হয়েছে।”
ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক তরুণীর। পায়েল বিশ্বাস (১৯) নামে ওই তরুণীর বাড়ি নদিয়ার করিমপুর থানার গড়াইমারি গ্রামে। বুধবার দুপুরে নিজের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।