Illegal Sand Mining

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই, দুই জেলায় বালি অভিযান

বৃহস্পতিবার রাতে গড়বেতা- ১, ২, ৩ এর পাশাপাশি শালবনি এবং মেদিনীপুর সদর ব্লকের একাধিক এলাকায় রাতভর অভিযান শুরু হয়। অভিযান শেষ হয় শুক্রবার ভোরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর, গোপীবল্লভপুর শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৪৪
Share:

গোপীবল্লভপুরে আটক বালি বোঝাই লরি। নিজস্ব চিত্র

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝাড়গ্রাম সফরের আগে বেআইনি বালি খাদান ও লরি ধরপাকড় অভিযান জোরদার হল দুই জেলায়।

Advertisement

ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে একটি বেআইনি ভাবে বালি তোলার অভিযোগে আচমকা অভিযান চালায় ভূমি দফতর ও পুলিশ। ১৫টি বালিবোঝাই লরি ও চারটি বালি তোলার এক্সক্যাভেটর (নিষ্কাশন যন্ত্র) মেশিন বাজেয়াপ্ত করেছে। এমনকি ১৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভূমি দফতর। মেদিনীপুর জেলার দুই এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে সবমিলিয়ে ১১টি লরি। কোনওটায় ‘ক্যারিং অর্ডার’ (সিও) ছিল না, কোনওটায় অতিরিক্ত পরিমাণে বালি বোঝাই ছিল। লরিগুলির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট আইনে মামলাও হচ্ছে।

পুলিশ ও ভূমি দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সোর্স মারফৎ খবর পেয়ে গোপীবল্লভপুরের এসডিপিও মাকুয়ানা মিত কুমার সঞ্জয় কুমার ও গোপীবল্লভপুরের ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অর্নিবাণ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালায় আঠাঙ্গী গ্রামে সুবর্ণরেখা নদী পাড়ে। অভিযোগ, বালি খাদানের রাস্তা তৈরি করার জন্য বালি তোলার সুযোগ নিয়ে বেআইনি বালি তুলছিল। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) ধীমান বাড়ৈ বলেন, ‘‘যৌথ ভাবে আচমকা অভিযান চালিয়ে গাড়িগুলি ধরা হয়েছে। যথোপোযুক্ত আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ যদিও প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছে বিরোধীরা। ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবশিস কুণ্ডু বলেন, ‘‘রাজ্যের কোষাগার শূন্য। যদি কিছু আদায় হয় তাই তৎপরতা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বেলপাহাড়িতে আসছেন তাই তৎপরতা আরও বেড়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সবকিছুই জানেন।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘‘ধারাবাহিক ভাবেই অভিযন চলে । এটা নতুন কিছু নয়। ওরা(বিরোধী) কিছুই জানে না।’’

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে গড়বেতা- ১, ২, ৩ এর পাশাপাশি শালবনি এবং মেদিনীপুর সদর ব্লকের একাধিক এলাকায় রাতভর অভিযান শুরু হয়। অভিযান শেষ হয় শুক্রবার ভোরে। প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলাশাসক আযেষা রানির নির্দেশে এই অভিযান হয়েছে। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সুমনসৌরভ মহান্তি। চন্দ্রকোনা রোডের কাছে ১০টি লরি আটক করা হয়েছে। ভাদুতলা- পিঁড়াকাটা রাস্তায় ১১টি লরি আটক করা হয়েছে। বেশিরভাগ লরিতেই বালি বোঝাই ছিল। কয়েকটি লরিতে চিপস বোঝাই ছিল। বৃহস্পতিবার রাতের অভিযানে লরি আটকে কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। দেখা যায়, কিছু লরির কাগজপত্রই ঠিকঠাক নেই। রাস্তায় ভূমি দফতরের দল তল্লাশি চালাচ্ছে দেখে একাধিক চালক লরি ছেড়েই চম্পট দেন!

নিষেধাজ্ঞা উঠতেই জেলার কয়েকটি খাদান থেকে বালি তোলা শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে বালি চুরিও! এ দিন খাদান মালিকদের নিয়ে এক বৈঠকও হয়েছে মেদিনীপুরে। সেখানেও ভূমি দফতরের কর্তারা খাদান মালিকদের সতর্ক করেছেন। জানিয়েছেন, কোনও রকম অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement