—প্রতীকী চিত্র।
গাছ কাটা নিয়ে দুই বাড়ির ঝগড়া গড়ায় খুনোখুনিতে। চার বছর আগে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়ার সময় তাঁকে কুড়ুল দিয়ে আঘাত করেন পিতা-পুত্র। চার বছরের ওই পুরনো মামলায় অবশেষে সাজা ঘোষণা করল ঝাড়গ্রামের এডিজে কোর্ট।
আদালত সূত্রে খবর, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে কেন্দ্র করে ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেড়া থানার খড়িপেড়িয়ার বাসিন্দা কালীপদ পাত্রের সঙ্গে অশান্তি হয় অমৃত পাত্র এবং তাঁর ছেলে মানস পাত্রের। গাছ কাটা নিয়ে তর্কাতর্কিতে কালীপদকে আচমকা আক্রমণ করে বসেন অমৃত এবং মানস। গুরুতর চোট নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হন কালীপদ। কিন্তু সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। আবার তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় আবার রাস্তা আটকে কালীপদকে কুড়ুল দিয়ে আঘাত করেন অমৃত এবং মানস। রক্তাক্ত অবস্থায় কালীপদ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। প্রতিবেশীদের চিৎকারে অভিযুক্তেরা পালিয়ে গিয়েছিলেন। কালীপদকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। খুনের অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। গ্রেফতার হন দুই অভিযুক্ত।
সংশ্লিষ্ট মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল যথা সময়ে। প্রায় ২ বছর পর চার্জ গঠন হয়। সময় পেরিয়ে যাওয়ার আগেই ঝাড়গ্রামের ‘ট্রায়াল মনিটরিং সেল’-এ ওই মামলার ‘ট্রায়াল মনিটরিং’ শুরু হয়। সোমবার সংশ্লিষ্ট মামলার সাজা ঘোষণা করে ঝাড়গ্রামের এডিজে কোর্ট। অভিযুক্ত মানস এবং অমৃতকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সরকারি আইনজীবী সত্যজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘ওই মামলায় দ্রুত চার্জ গঠন হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ (সোমবার) রায় ঘোষণা করেছেন।’’