প্রতীকী ছবি।
করোনা পরিস্থিতিতে এ বছরের আইপিএল টুর্নামেন্ট চলছে দুবাইতে। সেই আইপিএল নিয়েই বেটিং চক্রে জড়িত অভিযোগে নিউ দিঘা থেকে ৯ জন যুবককে গ্রেফতার করল বর্ধমানের মেমারি থানা ও দিঘা থানার পুলিশ। শুক্রবার একটি হোটেলে হানা দিয়ে তাদের ধরা হয়।
দিঘা থানা সূত্রে খবর, বর্ধমানের মেমারিতে একটি বড়সড় বেটিং চক্রের হদিস পেয়েছিল পুলিশ। সেখানে ওই চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। মেমারি থানার পুলিশের দাবি, ধৃতদের জেরা করে ‘বেটিং’ চক্রে যোগ রয়েছে, এমন কয়েক জনের ফোন নম্বর জোগাড় করা হয়। তার সূত্র ধরে জানা যায়, পলাতকদের বেশিরভাগই দিঘা ও মন্দারমণিতে রয়েছে। এদের ধরতে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স ও মেমারি থানার একজন সাব ইনস্পেক্টর বৃহস্পতিবার মন্দারমণিতে পৌঁছে ওই যুবকদের উপরে নজর রাখতে শুরু করে।
ওই যুবকেরা মন্দারমণি থেকে শনিবার সকালে দিঘায় চলে আসে। তাদের উপর নজর রেখে পুলিশও দিঘায় পৌঁছয়। নিউ দিঘার একটি হোটেলে ওঠে ওই যুবকেরা। সেখানে তারা দু’টি ঘর ভাড়া নিয়েছিল। একটিতে পাঁচজন ও আর একটি ঘরে চারজন ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় দিঘা থানার পুলিশের সহযোগিতায় ওই হোটেলে হানা দিয়ে মেমারি থানার পুলিশ ন’জনকে গ্রেফতার করে। রবিবার সকালে মেমারি থানার পুলিশ ধৃতদের নিয়ে মেমারির উদ্দেশ্য়ে রওনা দেয় বলে দিঘা থানা সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, মেমারির দিঘিরপাড়ের বাসিন্দা পল্লব মজুমদার ও সুদীপ মজুমদার, চিনুই গ্রামের বাসুদেব বিশ্বাস ও বিপ্লবচন্দ্র ধর, ভবেনপুকুর পাড়ের সমরেশ বিশ্বাস ওরফে গণেশ এবং ব্রাহ্মণপাড়ার প্রসেনজিৎ মাঝি নামে ওই যুবকেরা জেরায় বেটিং চক্রে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ধৃতদের মোবাইল ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি মোবাইলেই ‘বেটিং’-এর বেশ কয়েকটা অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। সেগুলি নিয়মিত ব্যবহার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক ‘অ্যাপ্লিকেশন আইডি’ এবং পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের অনুমান, ধৃতদের একেক জন ৩০-৪০ জনকে নিয়ে দল তৈরি করেছিল। বর্ধমান শহরের দু’জন এই চক্রের পাণ্ডা বলে জেনেছে পুলিশ। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ক্রিকেট ছাড়াও, রাজনীতি-সহ নানা বিষয় নিয়েও তারা বেটিং চালায় বলে জানা গিয়েছে।