অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে এর পরই দিল্লি থেকে উচ্চপর্যায়ের কমিটি এসে পৌঁছল রাজ্যে।
কার গাফিলতিতে হলদিয়া তেল শোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে বুধবার সকালেই কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে এর পরেই দিল্লি থেকে উচ্চপর্যায়ের কমিটি এসে পৌঁছল রাজ্যে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন ও সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তেল শোধনাগারের সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রীর কথাবার্তার পর ঠিক হয়েছে, মৃতদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঝলসে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। আহত হয়েছেন ৪৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ভর্তি হওয়া ওই ১০ জনের শরীরের ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর আহতদের খুব দ্রুত গ্রিন করিডর করে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য রাজ্য সরকারকেও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে।
অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত করতে দিল্লি থেকে উচ্চপর্যায়ের কমিটি আসার বিষয়টি হলদিয়া তেল শোধনাগারের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সংস্থা জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তিন জন ঠিকা শ্রমিককে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সংস্থা আশ্বস্ত করেছে, দুর্ঘটনায় মৃত ও আহত কর্মীদের সব রকম সাহায্য করা হবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন বলেন, ‘‘কারখানার লোকজন ছাড়াও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করে আহত কর্মীদের হাসপাতালে পাঠাতে সাহায্য করেছেন। কারখানার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কথা বলেছেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় এক জন বিহারের আর দু’জন মহারাষ্ট্রের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে শোধনাগার কর্তৃপক্ষ আর বাকি ৫ লক্ষ টাকা দেবে ঠিকাদার সংস্থা।’’
পুলিশ সুপার অমরনাথ কে জানান, ‘‘বুধবার থেকে তদন্ত করছে ফরেন্সিক দল। দিল্লি কারখানার উচ্চপর্যায়ের একটি দলও এসেছে তদন্ত চালাচ্ছে। এর পাশাপাশি জেলা পুলিশের তরফেও আলাদা ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও গাফিলতি সামনে এলেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে।’’