সমাজ মাধ্যমে সেই পোস্টার।
কে কার অনুগামী তা নিয়েই দ্বিধা-বিভক্ত শাসক দল।
গত কয়েক মাস ধরেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দোলাচল চলছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলেও। দাদার অনুগামী (পড়ুন শুভেন্দুর অনুগামী) তকমায় তৃণমূলের প্রতীক ছাড়াই সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। নানা কর্মসূচিও নেওয়া হচ্ছে। কিছুদিন আগে দিঘায় দাদার অনুগামীরা মিছিল করেন।
তবে ইদানীং হলদিয়ায় সামাজিক মাধ্যমে একটি গ্রুপে ‘দিদির অনুগামী’ এর পাল্টা হিসাবে মাঠে নেমে পড়েছেন। প্রচারও শুরু হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা ধরনের পোস্টার। পোস্টারে লেখা রয়েছে , ‘আমরা দিদির অনুগামী। আমার একটাই নেত্রী। বাংলায় একটাই জননেত্রী। বাংলায় একটাই মুক্তিসূর্য’।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দাদা-দিদির অনুগামীদের এমন ঠান্ডা দ্বৈরথ বিরোধীদের পালে হাওয়া দিচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জেলা কমিটি গঠন হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত নিচু স্তরের কোনও কমিটি গঠন করা হয়নি তৃণমূলে। ফলে দলের সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হচ্ছে। কর্মী-সমর্থকরা কাজ করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন বলে মনে করছেন একাংশ নেতা-কর্মী। আর এই সুযোগে মাঠ দখল করতে পথে নেমেছে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুফল মানুষের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি সে সব প্রকল্প থেকে রাজ্যবাসীকে বঞ্চিত করার দায় চাপিয়েছে শাসক দলের ঘাড়ে। এই পরিস্থিতিতে ‘বিষফোঁড়া’ হিসেবে যোগ হয়েছে দাদা-দিদির অনুগামীদের তরজা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকেই এক সময় রাজ্য ক্ষমতা বদলের সূত্রপাত হয়েছিল। রাজ্য তথা জেলার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ব ভূমিকা নিয়েছিল অধিকারী পরিবার। ইদানীং অধিকারী গড়ে ‘ফাটল’ ধরেছে। জেলায় পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মধ্যে বিভাজন ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।
বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীরা যে এর থেকে ফায়দা তুলতে চেষ্টার কসুর করবে না তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।