প্রতীকী ছবি।
মাস ছয়েকেই কেশপুরে ফিকে হচ্ছে গেরুয়া!
লোকসভা ভোটের পর দেখা যেত, শাসকের শক্ত ঘাঁটি কেশপুরের বিভিন্ন এলাকায় পতপত করে উড়ছে গেরুয়া পতাকা। ছ’মাসের ব্যবধান। সেই কেশপুরেই এ বার প্রকাশ্যে বিজেপির কোন্দল। দলের জেলা সভানেত্রী খোদ অন্তরা ভট্টাচার্যের নামে পোস্টার পড়ল এলাকায়। মঙ্গলবার কেশপুরের একাধিক জায়গায় কয়েকটি পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়েরা। পাশাপাশি টাবাগেড়িয়ায় বিজেপির স্থানীয় দলীয় কার্যালয়েও পড়েছে পোস্টার।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অন্তরার নামে পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য সাত লক্ষ টাকার বিনিময় মণ্ডল সভাপতি গঠন করছ কেন? অন্তরা ভট্টাচার্য হায় হায়’। কোনও পোস্টারে লেখা, ‘টাকার বিনিময়ে দলের ক্ষতি মানছি না, মানব না’।
বিজেপিতে সাংগঠনিক নির্বাচন চলছে। ইতিমধ্যে বুথ স্তরে নির্বাচনও হয়েছে। এ বার মণ্ডল স্তরে নির্বাচন শুরু হবে। পরে জেলা এবং রাজ্য স্তরেও নির্বাচন হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়েই সভাপতি-সহ পদাধিকারী ঠিক হয়। কেশপুরে বিজেপির তিনটি মণ্ডল রয়েছে। স্থানীয়দের অনুমান, মণ্ডল স্তরে নির্বাচন নিয়ে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই ওই পোস্টার পড়েছে। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অন্তরার পাল্টা, ‘‘তাই নাকি? আমি তো কিছুই জানি না!’’ পরে সবকিছু শুনে তাঁর জবাব, ‘‘মণ্ডল স্তরের নির্বাচন পর্ব পুরোটাই রাজ্য নেতৃত্ব দেখভাল করেন।’’
লোকসভা ভোটের পর থেকেই সিপিএম ছেড়ে আসা তন্ময় ঘোষ এবং শেখ সেলিম। মামলায় জড়িয়ে এই দু’জনই এখন জেলে রয়েছেন। বিজেপির নিচুতলার একাংশের বক্তব্য, নেতৃত্বের অভাবের জন্য কেশপুরে মাথাচাড়া দিচ্ছে দ্বন্দ্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির কটাক্ষ, ‘‘দলের জেলা সভাপতির নামে পোস্টার পড়েছে। এর থেকেই বোঝা যায় বিজেপি দলটার কী অবস্থা!’’