লাইসেন্স ছাড়াই হোটেল-ধাবায় বিকোচ্ছে চোলাই। চলছে দেদার নেশাও। যদিও চোলাইয়ের রমরমা বন্ধে আবগারি দফতর তেমন সক্রিয় নয় বলে অভিযোগ। আর এর জেরে নষ্ট হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব।
নিয়ম হল, ধাবায় মদ বিক্রি করতে গেলে লাইসেন্স নিতে হবে। আবগারি দফতর থেকেই অনুমতি নিতে হয়। লাইসেন্সও মেলে আবগারি দফতর থেকেই। নিয়ম মেনে ও নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদন, এলাকাটি মদ বিক্রির উপযুক্ত কিনা এ সব নানা বিষয় খতিয়ে দেখেই আবগারি দফতর লাইসেন্স ইস্যু করে। লাইসেন্স পাওয়ার পর সরকারি অনুমোদিত সংস্থা থেকেই মদ কিনতে হবে। তা দেশি মদ হোক বা বিদেশি। মদ বিক্রির সময় সরকারি নির্দেশ মেনে ও পাকা রসিদ দিয়েই মদ বেচতে হবে। তা সে ধাবা হোক কিংবা হোটেল। বছর বছর নির্দিষ্ট টাকা জমা দিয়েই লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করানোরও নিয়ম রয়েছে।
অভিযোগ, এই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ধাবা-সহ বিভিন্ন হোটেলে মদ বিক্রি চলছে অবাধে। এর ফাঁক গলে রাজস্বের ক্ষতি হলেও ভ্রূক্ষেপ নেই সরকারি আধিকারিকদের। তা হলে এই ধাবাগুলো চলছে কী করে? এ ক্ষেত্রেও অভিযোগের আঙুল পুলিশ-আবগারি দফতর থেকে শাসক দলের একাংশের দিকে। আদৌও কী বদল ঘটবে? সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, কোনও ধাবা সদ্য খোলা হয়েছে এমনটা নয়। কোনওটা মাস খানেক আগে খুলছে, কোনওটা আবার বছরের পর বছর চলছে। শুধু তাই নয়, দিনের দিন বাড়ছে ধাবার সংখ্যাও। অভিযোগ, দখল হয়ে যাচ্ছে রাস্তার ধারের সরকারি জমিও। ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশেরও। আবেদন-অনুরোধ করেও ফল মিলছে না।
ভুক্তভোগীদের আশা, পুলিশ-প্রশাসনের সক্রিয়তায় বিনা লাইসেন্সে অবাধে ধাবায় মদ বিক্রিতে দাঁড়ি পড়বে। বাড়বে আয়ও। সে সবের হাত ধরে লাগাম পড়বে সামাজিক অবক্ষয়েও। জেলা আবগারি দফতরের সুপারিন্টেনডেন্ট একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রি বেআইনি। জেলা জুড়ে চোলাইয়ের পাশাপাশি ধাবা গুলিতেও অভিযান চলছে। দ্রুত এ সব বন্ধ করা হবে।”