দুই মহিলার দেহ, ধৃত স্বামী

কাঁথি ও মারিশদা থানা এলাকায় পৃথক দু’টি ঘটনায় দুই মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাঁদের স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

কাঁথি ও মারিশদা থানা এলাকায় পৃথক দু’টি ঘটনায় দুই মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাঁদের স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর এগারো আগে কাঁথি থানার কামারবেড়া গ্রামের বাসুদেব জানার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মারিশদা থানার শংকরপুর গ্রামের সুজাতা জানার (৩১)। ওই দম্পতির একটি পুত্র ও কন্যা সন্তান রয়েছে। সুজাতার বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে পণ বাবদ বাপের বাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকা আনার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুজাতাকে চাপ দিচ্ছিল। সুজাতা তাতে অরাজি হওয়ায় তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। গত ৫ নভেম্বর সুজাতা বাপের বাড়িতে ফোন করে তাঁর উপর শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের বিষয়টি জানান। বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, ঘটনা জানার পর সুজাতার ভাই ও পরিবারের অন্যরা ৬ নভেম্বর সুজাতার শ্বশুরবাড়িতে যান। তাঁদের অভিযোগ, সে দিন তাঁরা এসে দেখেন বারান্দায় অচৈতন্য অবস্থায় সুজাতার দেহ পড়ে রয়েছে। তাঁরা এবং প্রতিবেশীদের কয়েকজন সুজাতাকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কাঁথি থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠায়। বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ, সুজাতার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ১৬ ডিসেম্বর সুজাতার ভাই দীপক গিরি কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে সুজাতার ময়না তদন্তের রিপোর্ট পৌঁছয়। দেখা যায় রিপোর্টে বিষক্রিয়ায় সুজাতার মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। তদন্তে নেমে কাঁথি থানার পুলিশ রবিবার রাতে সুজাতার স্বামী বাসুদেবকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

মারিশদা থানা এলাকায় এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত বিধানচন্দ্র আদক মারিশদার জন্টাই গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৬ জানুয়ারি বিধানচন্দ্রের স্ত্রী শেফালি আদকের (৩৬) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মারিশদা থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও ২ জানুয়ারি পুলিশের হাতে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পৌঁছলে জানা যায়, শেফালিদেবীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এপ পর মারিশদা থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্তে নেমে রবিবার রাতে মৃতার স্বামী বিধানচন্দ্রকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত স্বামীকে সোমবার কাঁথি আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement