Coronavirus Lockdown

কী ভাবে পরীক্ষা, ৬৯টি স্কুলে সমীক্ষা

শিক্ষা দফতর উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলির দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ০৪:৩২
Share:

আমপানের তাণ্ডবে হলদিয়ার পার্বতীপুর পতিতপাবন হাইস্কুলে উপড়ে গিয়েছে রবার গাছ। নিজস্ব চিত্র

আমপানের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে জেলায়। প্রাথমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলির অবস্থা শোচনীয়। ইতিমধ্যেই জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল স্কুলে কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা তা জানিয়েওছেন। দেখা গিয়েছে কোনও স্কুলে বিদ্যুৎ নেই, কোথাও পানীয় জলের ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। বেশিরভাগ স্কুলের ক্লাস ঘরের দরজা, জানালা ভেঙে গিয়েছে। উড়ে গিয়েছে মিড-ডে মিল রান্নার ঘরের ছাদ। তছনছ হয়েছে স্কুলের অফিস ঘর।

Advertisement

শিক্ষা দফতর উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলির দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে। তার নিরিখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্কুলগুলি কতটা প্রস্তুত রয়েছে তা দেখতে মঙ্গলবার বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করলেন এআই এবং এসআই-রা। ডিআই আমিনুল আহসান বলেন, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুরে ৬৯টি উচ্চ মাধ্যমিক সেন্টার রয়েছে। এই সেন্টারগুলিতে পরীক্ষা হওয়া সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখতে এদিন বিভিন্ন সার্কেলের এআই ও এসআইদের পাঠানো হয়েছিল। এ ছাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে পরিস্থিতি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

বিভিন্ন স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এবং তার ভিডিও রেকর্ডিং পাঠাতে বলা হয়েছে। হলদিয়ার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিদাস ঘটক বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা হিসাব করেছি। আমাদের একাধিক সোলার প্যানেল নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’ হলদিয়ার পার্বতীপুর পতিত পাবন হাইস্কুলে একটি প্রাচীন রবার গাছ সমূলে উপড়ে পড়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীনেশ রায় প্রামাণিক জানান, স্কুলে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

Advertisement

এদিন হলদিয়ার বিভিন্ন স্কুলে পরিদর্শকরা যান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড ক্লাস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অনুপম বিশ্বাস জানান, তাঁদের স্কুলে ক্ষতি দেখতে হলদিয়া সার্কেলের এআই রুদ্রপ্রসাদ দোলই এসেছিলেন। তিনি পৌর পাঠভবন স্কুলেও যান। এদিন পরিদর্শক স্কুলগুলির ভিডিও করেন।

ডি আই জানান, ঘূর্ণিঝড়ে স্কুলগুলির ক্ষতি হয়েছে। তবে পরীক্ষার আয়োজন করা যাবে বলে আমাদের মনে হয়েছে। বেশ কিছু স্কুলে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করে কী ভাবে পরীক্ষার কাজ চালানো যায় তা দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement