পড়ে রয়েছে ঘর। — নিজস্ব চিত্র।
সহায়-সম্বলহীন সংখ্যালঘু মহিলা, মূলত বিধবাদের জন্য ঘর বানিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু কেশপুরের সরুই গ্রামে সেই বিধবা কলোনির ঘর এখনও বিলি হয়নি। ফলে, সমস্যায় রয়েছেন আনোয়ারা বিবি, আখতারা বেগম, ফারসিনা বিবি-র মতো অনেকেই।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিধবা, স্বামী বিচ্ছিন্না, অসহায় মহিলাদের জন্যই এই উদ্যোগ। যাঁদের বাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ, তাঁদের নামেরই তালিকা বানানো হয়েছিল স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে। কেশপুর ১০ নম্বর অঞ্চলের মধ্যে পড়ে সরুই। প্রায় দেড় বছর আগে ইন্দিরা আবাস যোজনার টাকায় এই গ্রামে বিধবা মহিলাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই দিতে ঘর বানানো শুরু হয়েছিল। কেশপুর-চন্দ্রকোনা রাস্তার ধারে তেমনই আটটি ঘর তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে প্রায় এক বছর। আগাছায় ভরেছে চারপাশ। সরুই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল সালাম বলেন, ‘‘অনেকদিন হল এই বিধবা কলোনি তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। যাঁরা ঘর পাবেন তাঁরা আশায় দিন গুনছেন। কিন্তু প্রশাসনের নজর নেই।’’ বিডিও সৌরভ মজুমদার অবশ্য বলছেন, ‘‘বিদ্যুৎ ও শৌচাগারের কাজ বাকি রয়েছে। কাজ শেষ করে শীঘ্রই ঘরগুলি বিলি করা হবে।’’ একই সুরে কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা দে সেনগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘অনেক আগেই তালিকা তৈরি হয়েছে। খুব শিগগিরি ঘরগুলি বিলি করা হবে।’’